লোকাল নিউজ ডেস্ক:২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজয়ের পর দুধ দিয়ে গোসল করে সারা দেশে ঝড় তোলা আওয়ামী লীগের সেই বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ উদ্দিন আকন্দের ওই ইউনিয়নের উপনির্বাচন আজ বুধবার। আবারো তিনি উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট প্রার্থনা করছেন ভোটারদের দ্বারে দ¦ারে।অলোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের অকাল মৃত্যুতে এ উপনির্বাচন অনূষ্ঠিত হচ্ছে। রহিজ উদ্দিন ছাড়াও এ উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মর্তুজ আলী ( নৌকা) ও বিএনপি মনোনীত মোঃ নুরুল আমীন নান্নু (ধানের শীষ)। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনজনই। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ উদ্দিন আকন্দ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোঃ নুরুল আমীন নান্নু। তাদের অভিযোগ শুরু থেকেই মর্তুজ আলীর লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে ওই দুই প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মর্তুজ আলী।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমীন নান্নু বলেন, এ ইউনিয়নে বিএনপি’র প্রচুর রিজার্ভ ভোট রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আর দলের অধিকাংশ ভোট পেলে আমি বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মর্ত্তুজ আলী বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন। উন্নয়নের সেই ধারা বজায় রাখতে এলকার লোকজন আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।
মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: রহিজ উদ্দিন আকন্দ বলেন, আমি অলোয়া ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। গত নির্বাচনেও আমি বিজয়ী হয়েছিলাম। কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। এটা এলাকার সকল ভোটার জানেন। উপ নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসায় আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো। নির্বাচিত হয়ে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অলোয়া ইউনিয়নকে সাজাতে চাই।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার করুনা সিন্ধু চাকলাদার বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার ৫নং অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল কর্মকর্তারা সঠিক, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী আইনানুসারে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। এ উপনির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও নির্বাচনের স্বার্থে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য নির্বাচনে ২২ হাজার ৩০৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ২৩৪ জন পুরুষ ও ১১ হাজার ০৬৯ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন।