লোকাল নিউজ ডেস্ক ঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে একই স্থানে পাশাপাশি দুইটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন হওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে । এতে করে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এদিকে, দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পাল্টা অভিযোগ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার মধ্যে শুশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনশীট ঘর তুলে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ওই এলাকার অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পড়েছে দ্বিধা দ্বন্ধে। দুই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মাঝে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। টানা পোড়নের মধ্য রয়েছে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম।
শুশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, শুশুয়া বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবলে পড়লে স্কুলটি গোবিন্দপুর এরিয়ায় স্থাপন করা হয় শিক্ষকদের সুবিধার্থে। শুশুয়াতেই অনেক উঁচু জায়গা ছিল সেখানেও তো স্কুল নির্মাণ করা যেত। এখন দীর্ঘ ১ কিলো নৌকা যোগে নদীপথ পাড়ি দিয়ে অনেক কষ্টে স্কুলে আসতে হয়। নৌকা না পেলে কোনো কোনো দিন স্কুলেও যেতে পারি না। এতে করে যে কোন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতে পার।
গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, পাশাপাশি দুটি স্কুল হওয়াতে স্কুলে সহপাঠী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। স্যারেরাও রয়েছে ক্ষোভ ও হতাশার মধ্য। যার কারণে স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, শুশুয়া স্কুল ভেঙে গোবিন্দপুর স্কুলের পাশে স্থাপন করায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী ওই স্কুলে চলে গেছে। শুশুয়া স্কুলের জন্য নির্ধারিত জায়গায় সরকারি বরাদ্দে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করলেও সেখানে তারা যাচ্ছে না। যা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছিলাম। তাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের কারণে বার বার শুশুয়া স্কুলটি সরিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। স্কুলটি নদী ভাঙনের কবলে পড়ার কারণ সরিয়ে নিয়ে গোবিন্দপুর বিদ্যালয়ের কাছে স্থাপন করায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। গোবিন্দপুর স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ পেয়ে পরে ওই স্কুল সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়ে ছিল। তারা সে অনুযায়ী অন্যত্র ঘর নির্মাণ করে। কিছু দিন যেতে না যেতে স্কুলটি দিকে আবার নদী ভাঙন ধাবিত হয়। নদীর গতি বিধি পর্যবেক্ষণ করে কিছু দিনের মধ্যেই সরিয়ে শুশুয়া স্কুলের জন্য নির্ধারিত স্থানে হস্তান্তর করা হবে।