নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় এক মাস যেতে না যেতেই প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সড়কটির পুঃসংস্কার চেয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন করেছে এলাকাবাসী। উপজেলার গৌরাঙ্গী উত্তর পাড়া থেকে একাশি স্কুল পর্যন্ত ১ কি.মি. সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। বহুদিনের কাঙ্খিত সড়কটি বছর যেতে না যেতেই বিভিন্ন স্থানে ধসে যাওয়ায় কারণে ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

উপজেলা এরজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলার গৌরাঙ্গী উত্তরপাড়া থেকে একাশী স্কুল পর্যন্ত ১ কি.মি. রাস্তাটি পাকা করনের জন্য ৯৪,৯৪০০৪.৫৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সড়ক নির্মাণে কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শোভা এন্টারপ্রাইজ। আর বাস্তবায়ন করেন মেসার্স লৌহজাং এন্টারপ্রাইজ।
সরজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তাটি শতভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই পুঃসংস্কার চেয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন করা হয়েছে। একাশি গ্রামের মিন্টু ও আব্বাস আলী বলেন, রাস্তা দিয়ে এখন পর্যন্ত হাটতেই পারলাম না, অথচ পুনরায় আবার রাস্তাটি সংস্কার করা জরুরী। তাহলে কেমন কাজ হয়েছে বুঝে নিন। এখানে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ব্যাক্তি উন্নয়ন হয়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদনে উল্লেখ করেছেন নির্মাণের বিশ দিন যেতে না যেতেই সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। এতে করে যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য খসরু তালুকদার বলেন, রাস্তাটি এলাকাবাসীর বহু দিনের প্রত্যাশার ফসল ছিল। নিম্ন মানের কাজ করার দরুন বিশ দিনেই আমাদের সেই প্রত্যাশা রাস্তার ইট ও বালুর সাথে মিশে গেছে।
এ ব্যাপারে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু বলেন, সড়কটি আমার গ্রামের হলেও আমার খুব একটা যাতায়াত নেই। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে সরেজমিনে গিয়ে বেহাল দশা দেখতে পাই। গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করে সড়কটির পুনঃসংস্কার চেয়ে সবাই মিলে ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
ঘাটাইল উপজেলা সহকারি প্রকৌশলি আশরাফ উদ্দিন জানান, কাজটি এখনো শেষ হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরির্দশনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়িছি। রাস্তাটি পূনসংস্কার দরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা জেনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সড়কটি পুনঃসংস্কার না করা পর্যন্ত বিল ছাড় না দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ প্রদান করেছেন।