নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পোড়াবাড়ী-গারোবাজার সড়কে অন্তত ৯৫টি বাঁকগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ স্থানেই বাঁকগুলোতে নির্দেশনামূলক কোনো সাইনবোর্ড না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘোনারদেউলী, আঙ্গারখোলা, খাগড়াটা, চৈথট্র, রসুলপুর, মোমিনপুর, ছনখোলা, মানিকপুর মোড়গুলো বেশি বিপজ্জনক।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরের বছরের শেষ দিকে যান চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের সেকেন্ড রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (আরটিআইপি-২) আওতায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি নির্মিত হয়। এতে আর্থিক সহায়তা দেয় বিশ্বব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সড়কটির মানিকপুর মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সবজি ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন নিহত হন। এর আগে ১৩ আগস্ট ছনখোলা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এর আরোহী আশরাফ আলী মারা যান। একই ঘটনায় আহত হয় দুজন। ৫ আগস্ট গারোবাজারে মালবাহী ট্রাকের চাপায় রিকশা ভ্যানের যাত্রী কামাল মিয়া নিহত ও পাঁচজন আহত হয়।
স্কুলশিক্ষক সাজ্জাদ রহমান বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণের সময় কর্তৃপক্ষ (বাঁক থাকার) বিষয়টির দিকে নজর দেয়নি।’
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘সড়কটি নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না। তাই পুরনো আঁকাবাঁকা মাটির রাস্তার ওপর দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করতে হয়েছে। এ জন্যই সড়কে বাঁক সৃষ্টি হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা থাকলে সড়কটি সোজা হতো, এর দৈর্ঘ্যও কমে যেত। যেসব জায়গায় বাঁক নির্দেশক সাইনবোর্ড নেই সেখানে দ্রুত সাইনবোর্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’