টাঙ্গাইলে চিত্র নায়ক মান্না ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

তুহিন মিয়া, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার বাগানবাড়ীর তালুকদার ভবনে গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল ‘২৩) বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার (মান্না) ৫৯তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে, “মান্না ফাউন্ডেশন” কালিহাতী শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

জননন্দিত অভিনেতা মান্নার ১৪ এপ্রিল ১৯৬৪ সালে জন্ম টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলায় জম্মগ্রহন করেন। মৃত্যুর পর ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিলে, এসো গড়ি মানববন্ধন প্রতিপাদ্য নিয়ে মান্না ফাউন্ডেশন প্রথম যাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, চিত্র নায়ক মান্নার চাচা এলেঙ্গার সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাফি তালুকদার।

প্রধান আতিথি হিসেবে মান্না ফাউন্ডেশনের কর্ম-উদ্যোগ বিষয়ক আলোচনা করেন মান্না ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্র নায়কের সহধর্মিণী সেলী মান্না। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার, ঢাকা বিভাগের সহ-সভাপতি এবং সাপ্তাহিক পাপিয়া পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মো. সেলিম তরফদার, মান্না ফাউন্ডেশনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান শিশির, সহ-সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ বাচ্চু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লুলু, অর্থ সম্পাদীকা মান্নার মামী আতিকা জামান কলি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদীকা রোকেয়া বেগম রুকু। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন, ফাউন্ডেশনটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মকবুল হোসেন। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠানটির শুরুতে কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন বাগানবাড়ী মসজিদের ইমাম। তাছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, সুধিজন, ভক্তবৃন্দ, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে “মান্না ফাউন্ডেশন” এর ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কালিহাতী উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির (সংশোধন যোগ্য) নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে মান্না ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে অভিনেতা, প্রযোজক মান্নার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অবশেষে ইফতার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করা হয়। দৃষ্টি ফেরাতে উল্লেখ্য, সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার, মঞ্চনাম মান্না হিসাবেই অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক। মান্না চব্বিশ বছরের কর্মজীবনে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত অাম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি বীর সৈনিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আম্মাজান চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে মেরিল-আলো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাচসাস সহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী লক্ষ অনুরাগি, ভক্ত, হিতাকাঙ্ক্ষীদের অশ্রুসিক্ত করে না ফেরার দেশে চলে যান। কিংবদন্তি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের এই শক্তিমান অভিনেতা মৃত্যুর ১৫ বছর পার হলেও তার জনপ্রিয়তা এক তিল পরিমাণও কমেনি। অমর হয়ে অাছেন কোটি মানুষ, দর্শক ও ভক্তের হৃদয়ে।

পরিচিতি Ibrahim Bhuiyan

এটাও চেক করতে পারেন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলে ছাত্র হত্যায়: মন্ত্রী-এমপিসহ ৫৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইল পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে নিহত স্কুল ছাত্র …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *