নিজস্ব প্রতিবেদক :একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ছোট মনির ও খন্দকার মশিউজ্জামানের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ।
জানা যায় টাঙ্গাইল-২(গোপালপুর-ভূঞাপুর)আসনে দুজনকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।এরা হলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছোট মনির ও বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান। গত ২৫ নভেম্বর রবিবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পান ছোট মনির। মনোনয়ন পাওয়ার সংবাদে তার কর্ম-সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল বের করে। গত ২৮ নভেম্বর বুধবার মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিন টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সকাল ১১ টার দিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেন ছোট মনির। দুপুরে তার নির্বাচনী এলাকার সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পুনরায় মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। এসময় খবর ছড়িয়ে পড়ে খন্দকার মশিউজ্জামানকেও বুধবার সকালে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। তিনি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছেন। এতে খন্দকার মশিউজ্জামানের কর্মী সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল বের করে। অপর দিকে ছোট মনিরের কর্মী – সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা মশিউজ্জামানকে প্রতিহতের ঘোষনা দেয়। মশিউজ্জামান বিকল্প পথে তার গাড়ি বহর নিয়ে গোপালপুরে নিজ গ্রাম নারুচিতে চলে যায়। ছোট মনির তার গাড়ি বহর নিয়ে গোপালপুর থেকে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে এসে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। আর এ প্রতিবাদ সভা থেকে মশিউজ্জামানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদের নেতৃত্বে ছোট মনিরের পক্ষে এক মিছিল বের করা হয়। শুক্রবার সকালে মশিউজ্জামান ভূঞাপুরে শোডাউন করবে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ছোট মনিরের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ভূঞাপুরে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। রাস্তায় লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। পড়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিত হয়। মশিউজ্জামান তার শোডাউন কর্মসূচী বাতিল করে। চলমান এ পরিস্থিতিতে ছোট মনির ও খন্দকার মশিউজ্জামানের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন,পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধকারিরা চলে যায় এবং খন্দকার মশিউজ্জামান সাহেব তার নির্ধারিত কর্মসূচী প্রত্যাহার করেন।