নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর জনতা ব্যাংক থেকে দশ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নাটক সাজানো মালেক এখন ভূঞাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে ।
রোববার(১৯ মার্চ ) জনতা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বের হওয়ার সময় দশ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ছিলেন মালেক হাজারী। সে টাকা উত্তোলন করে তার ভাগিনার কাছে দিয়েই ব্যাংকের সিঁড়িতে বসে পড়ে এবং বলতে থাকে তার হাতে আঘাত করে টাকার ব্যাগ ছিনতাই হয়েছে। আহতের ভাব ধরে ভূঞাপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।পরে থানায়্ এসে অভিযোগ দেয় তার দশ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে।তাদেরকে আমি চিনতে পেরেছি।এলাকাবাসি জানায়, আব্দুল মালেক ওরফে মালেক হাজারী ঘাটাইল উপজেলার মনোহড়া গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে। তার জন্ম স্থান ঘাটাইল উপজেলার দশানী বকশিয়া গ্রামে, প্রায় বিশ বছর আগে মনোহড়া গ্রামে গিয়ে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। সেখানে নানান অপকর্মে জড়িত থাকার কারনে বেশী দিন থাকতে পারেনি বিধায় আবারও দশানী বকশিয়াতে বাড়ি করে বসবাস করতেছেন। ইতিমধ্যে তার অপরাধের খাতায় হত্যা মামলা সহ জমি দখলের একাধিক মামলা জমা হয়েছে। এসব অপরাধে জড়িত থাকার কারনে এলাকার লোকজন তার নাম দিয়েছে মালেক হাজারী। হাজার অপরাধের জন্য তার নাম নাকি হাজারী মালেক। শুধু মালেক বললে এলাকায় কেউ তাকে চিনে না। হাজারী মালেক হিসেবে খুব পরিচিত সে।বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ভাবে শাহ আলম নামে একজন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ঘটনা তখনই অন্য দিকে মোড় নিতে থাকে। জানা যায় শাহ আলমের সাথে তার দীর্ঘ দিনের জমি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। যার প্রতিশোধ নিতে শাহ আলম কে ফাসাতে সে এই ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছে।অবশেষে রাত ১২ টায় দশ লাখ টাকা মালেকের মেয়ে রানী আক্তারের বাসা ভূঞাপুরের গনেশের মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করে। মালেক এখন ভূঞাপুর থানার পুলিশ হেফাজতে আছে।