আ: রশিদ তালুকদার : নবাগত পুলিশ সুপারের ঘোষণা অনুযায়ী টাঙ্গাইল শহর যানজট মুক্ত হতে শুরু করেছে। ট্রাফিক বিভাগ ও পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দুই ভাগে চলাচলের উদ্যোগ নেয়ায় শহর থেকে যানজট বিদায় নিতে শুরু করেছে। সোমবার (২ এপ্রিল) থেকে এ উদ্যোগ কার্যকর হওয়ায় আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে। নবাগত পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়ের ঘোষণা অনুযায়ী দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে উদ্যোগী হওয়ায় যাত্রী সাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ বলছে, ‘এসপি তাহলে এবার কথা রেখেছেন’।
পুলিশ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানায়, শহরে চলাচলের জন্য পৌরসভা তিনহাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দিয়েছিল। কিন্তুু শহরে চলাচল করত প্রায় আট হাজার অটোরিকশা। এতে প্রতিটি রাস্তায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকত। যানজট থেকে মুক্তি পেতে পুলিশ ও পৌরসভা একাধিক বৈঠক করে লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা শহর থেকে সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু রাজনৈতিক চাপ এবং অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলনের হুমকির মুখে তা বাস্তবায়ন হয়নি। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সুঞ্জিত কুমার রায় গত মার্চে টাঙ্গাইলে যোগদানের পর যানজট সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আশ্বাস দেন। তার অংশ হিসেবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ শহরের অবৈধ অটোরিকশার দোকান সীলগালা করে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স দেয়া তিনহাজার অটোরিকশার দেড়হাজার হলুদ স্টিকার এবং দেড়হাজার লাল স্টিকার লাগিয়ে চিহ্নিত করে। লাল স্টিকারযুক্ত অটোরিকশা সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এবং হলুদ স্টিকারযুক্ত অটোরিকশা দুপুর দুইটা থেকে রাত পর্যন্ত চলাচলের সময় বেঁধে দেয়া হয়। সোমবার (২ এপ্রিল) থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ায় পাল্টে গেছে শহরের চিত্র। আগে শহরের সন্তোষ এলাকা থেকে নিরালার মোড় আসতে ৪০ থেকে ৫০মিনিট সময় লাগতো। এখন সেখানে সময় লাগছে ১০ থেকে ১৫মিনিট। সাধারণ মানুষ খুশি এই যানজটের ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পেরে।টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন জানান, শহরের অন্যতম সমস্যা ছিল যানজট। পুলিশ বিভাগের সহায়তায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করে শহর যানজটমুক্ত করা গেছে। এ অবস্থা যাতে টিকে থাকে সেজন্য শহরবাসীকেও সহায়তা করতে হবে।