নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বেতুয়া গ্রামের কৃতি সন্তান নেত্রকোনা সদর সার্কেলে প্রথম নারী পুলিশ কর্মকর্তা মোরশেদা খাতুন। ক্লিন ইমেজের ত্রিশ ব্যাচের এই পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব সামলাবেন নেত্রকোনা সদর সার্কেলের । সার্কেলটিতে নেত্রকোনার মডেল থানা ও পূর্বধলা থানা অন্তর্ভুক্ত।

মোরশেদা বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) জেলায় নতুন প্রথম কর্মদিবস। যোগদানকালে তাকে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করেন। পদন্নোতি পাওয়া পুলিশ সুপার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) দায়িত্বে থাকা এস.এম আশরাফুল আলম তাকে বরণ করেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, আল-আমিন হোসাইন (সদর) সহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মদিবসের প্রথম দিনে পুলিশ কর্মকর্তা মোরশেদা খাতুন জানান, মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার পূরণে তিনি বদ্ধপরিকর। নেত্রকোনা যোগদানের আগে মোরশেদা ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ এবং তারও আগে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন। ভালো কর্মের মাধ্যমে সেইসময়েও অর্জন করেছেন সুনাম। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও জেলায় কাজ করে জনতার আস্থার প্রতীক হয়ে ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চান মোরশেদা খাতুন।
সেবা দেয়ার লক্ষ্যে যেকোনো মুহূর্তে রেসপন্স করা হবে পরিচিত-অপরিচিত সবার ফোনকল। সার্কেলে অন্তর্ভুক্ত যেকোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে নির্ভয়ে জানানো যাবে। বিশেষক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নামপরিচয় গোপন থাকবে। এছাড়াও মাদক, জুয়া, নারী-শিশু নির্যাতন আর যেকোনো অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য জানাতে ০১৭১৩৩৭৩৫০১ নাম্বারে কল করতে পারবে যেকেউ। তথ্যদাতার নিরাপত্তার স্বার্থে সবসময় গোপন থাকবে নাম-পরিচয়।
করোনা নিয়ে কোনো ধরণের গুজব বা মিথ্যে তথ্য ছড়ানো থেকে সকলকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে মোরশেদা খাতুন জানান, আতঙ্ক নয় সচেতন হতে হবে। রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যে কিছুক্ষণ পরপর হাতমুখ সাবান দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে। অযথা বাহিরে না গিয়ে অন্তত কয়েকটা দিন এই সময়টুকুতে ঘরে আপনজনের সাথে সময় কাটাতে পারলে করোনা মোকাবেলা বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলেও মনে করেন নেত্রকোনা সদর সার্কেলের প্রথম এই নারী পুলিশ কর্মকর্তা।