ভূঞাপুরের নিকরাইল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা


নিজ্স্ব প্রতিবেদকঃ
দীর্ঘ দিন যাবত ভূঞাপুরের নিকরাইল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটির বেহাল দশা। ভূঞাপুর ও কালিহাতী উপজেলার প্রায় ২০ টি গ্রামের লোকজনের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। কেন্দ্রটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও কালিহাতী দু’টি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় প্রতিদিন শত শত রোগী আসে এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ না পেয়ে তাদের যেতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে। এ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য একজন এমবিবিএস ডাক্তার বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত তার দেখা পাননি রোগীরা।
সরেজমিন জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল, কয়েড়া, আমুলা, আকালু, চর কয়েড়া, নলুয়া এবং কালিহাতী উপজেলার সরাতৈল, মাইজবাড়ি, গোহালিয়া বাড়ি, যোকারচরসহ ২০ গ্রামের সাধারণ মানুয়ের চিকিৎসার ভরসাস্থল নিকরাইল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তবে নানা সমস্যার কারনে কোন সেবাই পাচ্ছে না রোগীরা। ভাঙা এ টিনের ঘরটিতে একটু বৃষ্টি হলেই মেঝেতে পানি জমে থাকে। ওষুধ রাখার আসবাবপত্র গুলোর বেহাল দশা। নেই কোন বেডের ব্যবস্থা। রোগী আসলে মেঝে অথবা বেঞ্চে শুইয়ে রাখা হয়। এক কথায় কেন্দ্রের ভিতরে চিকিৎসার কোন পরিবেশ নেই বললেই চলে। এদিকে এন্টিবায়োটিক ও আয়রন ট্যাবলেট ছাড়া আর কোন ওষুধ সরবরাহ হয়না এখানে। তিন মাস বন্ধ রয়েছে খাবার স্যালাইন সরবরাহ। নেই প্যারাসিটামল, এন্টাসিডসহ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।
ডা. ফৌজিয়া আক্তার নামে একজন এমবিবিএস চিকিৎসক সেখানে কর্মরত থাকার কথা থাকলেও রোগীরা তাকে এখন পর্যন্ত দেখেনি। এখানে আব্দুল মালেক নামে একজন উপসহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার থাকলেও তিনি নিয়মিত বসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।নিকরাইল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট সাইদুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে ওষুধ না আসলে আমরা কিভাবে দিবো। এন্টিবায়োটিক আর আয়রন ট্যাবলেট ছাড়া আর কোন ওষুধ নেই। উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো. আব্দুল মালেক বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মতো ওষুধ নেই চালাবো কেমনে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সামা জানান, সেখানকার চিকিৎসক ফৌজিয়া আক্তার গত দেড় বছর যাবৎ ডেপুটেশনে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বেহাল অবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।ভাঙ্গা টিনের ঘরের পরিবর্তে বিল্ডিং নির্মাণ, আসবাবপত্র মেরামত , চিকিৎসা সেবার মান উন্নতসহ বরাদ্দকৃত এমবিবিএস ডাক্তারের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন রোগী ও এলাকাবাসী।

পরিচিতি ইব্রাহীম ভূইয়া

এটাও চেক করতে পারেন

জামায়াতের আর্থিক সহায়তা পেলো ভূঞাপুরের শহিদ পলাশের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ মো. ফিরোজ তালুকদার পলাশের পরিবারের পাশে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *