লোকাল নিউজ ডেস্ক : দি এশিয়ান এইজ পত্রিকার ভূঞাপুর উপজেলা প্রতিনিধি, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরি সদস্য খন্দকার এনামুল হক মুকুল (৪৮) গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন (ইন্নাৃ.. …..রাজিউন)।
এর আগে তিনি মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভূঞাপুর প্রেসক্লাবে তার সংবাদ সংক্রান্ত কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরেন। বিকেল ৪টায় উপজেলার মাটিকাটা নামক স্থানে সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে সেখানে হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। আশে পাশের লোকজন সেখানেই তার মাথায় পানি দেন। পরে তাকে সিএনজিযোগে ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সে বেশ কিছুদন যাবৎ হার্র্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন।
খন্দকার এনামুল হক মুকুল দৈনিক জনকন্ঠের বিনোদন পাতায় লেখা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর দৈনিক সরেজমিন বার্তা ও বর্তমানে ইংরেজি দৈনিক এশিয়ান এইজ পত্রিকার ভূঞাপুর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।সে ফসলান্দি গ্রামের খন্দকার আব্দুল গফুরের ছেলে
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, ও বাবা মাসহ অসংখ্য আতœীয় স্বজন রেখে যান। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় ভূঞাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ পূর্ব আলোচনায় অংশনেয় ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এডভোকেট, পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ, ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুছ ছালাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহীউদ্দিন, ভূঞাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। সাংবাদিক মুকুলের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে ভূঞাপুর প্রেসক্লাব। তারবিদেহী আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসলাম হোসাইন। পরে তাকে ছাব্বিশা কেন্দ্রীয় করবস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।