নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক গৃহবধূ ও সারপলশিয়া গ্রামে এক সেনা সদস্য ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে রান্না ঘরের চুলায় ভাতের পাতিল রেখে ফাঁসিতে ঝুলে মোছা. রেনু বেগম (৪৯) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ভারই গ্রামের রহিজ উদ্দিনের স্ত্রী। তার দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।নিহতের মা জানান, তার মেয়ে রেনু বেগম চার বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন। মাঝে মধ্যে নিজের শরীরে নিজেই আঘাত করতো। এ নিয়ে চিকিৎসা করা চাইলে সে রাজি হতো না। সকালে চুলায় ভাত রান্না করছিল। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজনদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘরের ধর্ণার (আড়ার) সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু সেনা নিবাসের ১১ আরই ব্যাটালিয়নের জাহাজ স্টাফ ও সিভিল ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছাইদুল ইসলাম (৩৭) স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ভূঞাপুরের নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে দশ বছরের ছেলে মাইনুদ্দিন বাড়ির উঠানে খেলছিল। তার স্ত্রী ও বড় ছেলে বাজারে গিয়েছিল। ছাইদুল ইসলাম বাড়িতে ফিরে গোসল শেষে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রুমের ভেতরে ধর্ণার (আড়ার) সাথে রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনীর সিভিল সদস্য ও জাহাজের স্টাফ ছাইদুল ইসলাম প্রায় তিন বছর ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছিলেন। সে কারণে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।