লোকাল নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পৌরসভাসহ ৪টি ইউনিয়নে ১৮শ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ করেছে।এবছর ভূট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কৃষক অধীর আগ্রহে মনের খুশিতে মাঠে কাজ করছে। চরাঞ্চলের এলাকা জুড়ে এখন শুধু ভূট্টার উঠতি চারা শোভা পাচ্ছে। ঝিলমিল করে বাতাসে দোলছে ভূট্টার সবুজপাতা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার গাবসারা, গোবিন্দসী,নিকরাইল ও অর্জুনা ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রান্তিক চাষীরা ভূট্টা চাষ করেছে। কারণ অন্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষ কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় এ ভূট্টা চাষ করছে তারা। এতে খরচ কম ফলন বেশি। পানি সেচও তেমন বেশি দিতে হয়না। ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ১৫ থেকে ২০ মন ধান হয় অপর দিকে ১ বিঘা জমিতে ভূট্টা হয় ৩০ থেকে ৩৫ মন, দামেও তেমন পার্থক্য নেই। কীটনাশক ও সারের ব্যবহারও কম লাগে। গত বছরের চেয়ে এবছর ভূূট্টা চাষ হয়েছে অনেক বেশি। জমিতে ফলনের আকৃতি ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যান্য রবি শস্যের চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় ভূট্টার এ বিপ্লব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সহজে আবাদযোগ্য এবং অধিক লাভ জনক হওয়ায় ভূট্টা চাষে কৃষক বেশি আগ্রহী হয়েছে। রেহাই গাবসারার কৃষক মোঃ আলম মিয়া জানান আমি গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি এবছর যেমন দেখছি তাতে বিঘাতে ৩০ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছি। চানগঞ্জ গ্রামের কৃষক হবি আকন্দ জানান ‘আমাদের বাচতে হলে ভূট্টা চাষ ছ্াড়া উপায় নাই কারন অন্য ফসলের তুলনায় ভূট্টা চাষ খুবই লাভজনক। আর কৃষি অফিস থেকে ভূট্টা চাষের জন্য সময়মত বীজ,সার ও কীটনাশকও পাওয়া যায় । উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হোসেন জানান ভূট্টা চাষে কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায় তাই তারা বেশি বেশি ভূট্টা চাষ করে। আমাদের প্রান্তিক কৃষকরা যখন যে পরামর্শ চেয়েছে আমরা তা ঠিক ঠিক মত দিয়েছি। তাছাড়া ভূট্টার আখ গোখাদ্য আর ডাটা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় এজন্যও কৃষক ভূট্টা চাষে আরো বেশি আগ্রহ সহকারে এ আবাদ করে থাকে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জিয়াউর রহমান জানান, গত বছর ১০৭৭ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছিল এবছর লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে ১৮০০শ হেক্টর জমিতে ভূট্টা লাগিয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি ফলনও এবার অনেক বেশি হবে। আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা আছে তারা কৃষকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে।”চরাঞ্চলের লোকেরা অন্য ফসলের চেয়ে ভূট্টাকে এখন একমাত্র ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছে। ফলন যেমনি হউক সঠিক মুল্য পাবে কিনা এমনটাই আশঙ্কা এখন এই নিভৃত চরাঞ্চলের কৃষকের। গতবছর যে মুল্য পেয়েছে তার চেয়ে বেশি মুল্য থাকলে বন্যায় অন্য ফসলের যে ক্ষতি হয়ে থাকে তা কিছুটা হলেও পুশিয়ে নিতে পারবে এই ভূট্টা চাষে।