লোকাল নিউজ ডেস্ক : নদী ভাঙ্গন ও বন্যাকবলীত চরাঞ্চলে কৃষক ভূট্ট্রা চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এখন ভূট্ট্রা মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা । ভূঞাপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ কৃষকরা তাদের জমিতে ভূট্ট্রা চাষ করেছে। নিকরাইল, গাবসারা ও অর্জুুনা ইউনিয়নের ভদ্রশিমুল, বাসুদেবকুল বোরারবয়ড়া, চরভরুয়া, চরতাড়াই, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রামাইল, ,নলছিয়া,জোকার চর গাবসারা ইউনিয়নের রুলিপাড়া, গোবিন্দপুর, রামপুর, রায়ের বাসালিয়া অঞ্চলে ভূট্ট্রা ফলন খুুবই ভালো হওয়াতে চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। গোবিন্দাসি,গাবসারা ও অর্জুনা ইউনিয়নে ভূট্ট্রার বাম্পার ফলন ফলেছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা। অন্যান্য রবি শস্যের চেয়ে ভুট্রার ফলন বেশি হওয়ায় ভুট্রার এ বিপ্লব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সহজে আবাদযোগ্য এবং অধিক লাভ জনক হওয়ায় ভ’ট্রা চাষে কৃষকরা বেশি ঝুঁেক পড়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১০৫০ হেক্টর জমিতে ভূট্ট্রা চাষ হয়েছিল এবছর লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে ১৪০০ হেক্টর জমিতে ভূট্ট্রা চাষ হয়েছে। উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের কৃষকরা ভূট্ট্রা চাষ করেছে। কারন অন্য ফসলের তুলনায় ভূট্ট্রা চাষে খরচ কম এবং অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। একবিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ১৫ থেকে ২০ মন ধান হয় অপর দিকে একবিঘা জমিতে ভূট্ট্রা হয় ৩০ থেকে ৩৫ মন তাছাড়া দামেও তেমন পার্থক্য নেই। পানি সেচও কমলাগে কীটনাশক সারের ব্যবহারও কম। গত বছরের চেয়ে এবছর ভূূট্ট্রা চাষ হয়েছে অনেক বেশি। ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন ভূট্ট্রা মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ভূট্রা চাষীরা। ক্ষেত থেকে ছড়া কেটে এনে শুকিয়ে মেশিনে মাড়াই করে ঘরে তোলা শুরু করেছে। ফলন যেমনি হউক সঠিক মুল্য পাবে কিনা এমনটাই আশঙ্কা এখন এই নিভৃত চরাঞ্চলের কৃষকের। চন্ডিপুর গ্রামের ভূট্ট্রা চাষী মো: সায়েদ আলী জানান, আবাদে আন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম তাই আমরা জমিতে ভূট্ট্রা চাষ করি । রেহাই গাবসারার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান আমি ৭ বিঘা জমিতে ভূট্ট্রা চাষ করেছি এবছর যেমন দেখছি তাতে বিঘাতে ৩২ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছি।একই গ্রামের সায়েদ আলী জানান যেভাবে ভুট্ট্রা চাষ হয়েছে এতে করে আমাদের ভাগ্যের পরিবতন হবে কারন এত বেশি ভূট্ট্রার আবাদ এর আগে কখনো হয় নাই। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান,ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি অধিকাংশ কৃষকের জমিতে ফলন ভাল হয়েছে। যখন যে পরামর্শ চেয়েছে কৃষক আমরা তা ঠিক ঠিক মত দিয়েছি তাছাড়া ভুট্রার আখ গোখাদ্য আর ডাটা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় এজন্যও কৃষক ভুট্রাচাষে আগ্রহী হয়।
এটাও চেক করতে পারেন
শ্রাবণে বোরো ধান চাষে মেতে উঠেছে ভূঞাপুরের কৃষক
মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা,ভূঞাপুর : শ্রাবণে বোরো ধান চাষে মেতে উঠেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কৃষক । …