লোকাল নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বংশাই ও ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে কুর্ণী-ফতেপুর সড়ক কালভার্টসহ প্রায় ৪০০ ফুট রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভাঙনের ফলে নদীর পাশে থাকা আবাদী জমির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আগে যেখানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫০০ যানবাহন চলতো এখন সেখানে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র স্থানীয়দের মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান চলাচল করছে।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বংশাই ও ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। এতে চাকলেশ্বর, থলপাড়া, বৈলানপুর-পাতিলাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের তীব্রতার কারণে এরই মধ্যে রাস্তা, ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হিলরা বাজারের উত্তর পাশের অধিকাংশ স্থান ভেঙে গেছে। বাজারের পাশ দিয়ে এলজিইডি নির্মিত রাস্তা কালভার্টসহ ভেঙেছে। পানি বাড়ার পাশাপাশি নদী থেকে বালূ তোলায় ভাঙনের কারন বলে জানা গেছে। শুকনো মৌসুমে নদীর পার থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা এবং বর্ষা মৌসুমে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিবছরইওই এলাকায় ভাঙন শুরু হয় এবং রাস্তাঘট, আবাদী জমীসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।এর প্রতিকারে এখনো কার্যকরী কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ খান জানান, কালভার্টের মাথায় পাইপ থাকাতে পানি চুইয়ে নদীতে পড়ায় কালভার্টের নীচ থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা ড্রেজার দিয়ে একই স্থানে নদী থেকে বালু তোলে। ফলে হিলরা বাজারের উত্তর পাশসহ, কালভার্ট ও সড়ক নদীতে ভেঙে গেছে। থলপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া বলেন, ওই এলাকা প্রতিবছরই নদী ভাঙনের শিকার হয়। কিন্তু ভাঙন রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয় না কর্তৃপক্ষ। জরুরী ভিত্তিতে এর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
মির্জাপুর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।