আব্দুর রহিম মিয়া, ভূঞাপুর : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জোরপূর্বক এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৪ জুন) রাতে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।অভিযুক্ত সোহেল উপজেলার মাদারিয়া গ্রামের গোলাপ খানের ছেলে।ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী জানায়, প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক সোহেল স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে কু-প্রস্তাব দিত। একদিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে এক দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে ফেরার পথে একা পেয়ে সোহেল রাস্তা থেকে পাশের এক বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও করে রাখে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। পরে বিয়ের কথা বলে মাঝে মধ্যেই তাকে ধর্ষণ করতো। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা এবং বিয়ের কথা বললে তাকে ভয়ভীতি করা দেখাতো। এ সময় গর্ভের সন্তান নষ্ট না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।ভুক্তভোগীর বাবা জানান,দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলে। জীবিকার তাগিদে ঠিকমতো বাড়িতেও থাকা হয় না। মেয়ের মা কানে কম শুনে। সোহেল বাড়িতে বিভিন্ন সময় আসা-যাওয়া করতো। এনিয়ে তাকে বহুবার নিষেধও করেছি। কিন্তু সে মানেনি। পরে জানতে পারি আমার মেয়ের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথা। এ নিয়ে তার পরিবারকে জানালে উল্টো আমার মেয়েকে সোহেল মারধর করতো। এছাড়া সোহেল প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকি দিয়ে আসছে নানাভাবে। যার কারণে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।এ বিষয়ে ফলদা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু বলেন, মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ভূঞাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আল-আমিন, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধার ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল জলিল খান, সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার আবুল কাশেম আজাদ, ইউপি সদস্য খাইয়ুল ইসলামসহ এলাকার মাতাব্বরদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশে বৈঠক হয়। পরে সালিশে সোহেল ধর্ষণ ও বিয়ের প্রলোভনের কথা অস্বীকার করায় আমরা ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেই।ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটিসহ তার বাবা শুক্রবার (৩ জুন) রাতে থানায় এসেছিল। পরে তারা বিস্তারিত বলার পর আমি তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলি। শনিবার বিকেলে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।