কতবার সংস্কার করার পর হস্তান্তর হবে ভূঞাপুরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ?
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধনের আগেই একবার সংস্কার করা হয়েছে।স্টেয়ামটি পুনোরায় সংস্কার করার সময় হয়েছে।সাধারন জনগনের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে কোনদিন হবে হস্তান্তর এই স্টেডিয়াম।কবে হবে খেলার উপযোগি।
সরেজমিনে দেখা যায়,খসে পড়েছে স্টেডিয়ামের নির্মিত প্যাভিলিয়ন ভবনটির পলেস্তরা। দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অংশে ফাটল। প্যাভিলিয়ন ভবনের বারান্দা হেলে পড়ে লোহার গ্রিল বাঁকা হয়ে গেছে। মাঠের চারিদিকে বসানো গ্যালাড়ি বেঞ্চগুলো অধিকাংশ ভেঙে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে মাঠের মাটিও ধ্বসে গিয়ে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে সেখানে কোন ধরণের খেলাধুলা করতে পারছে না স্থানীয় খেলোয়াড়রা।সামান্য বৃষ্টি হলেই পূড়ো মাঠ পানিতে একাকার হয়ে যায।
জানা যায়, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কাজ ২০১৭ সালে টেন্ডার হওয়ার পর এটির নির্মাণ কাজ পায় আক্তার এন্টারপ্রাইজ ও ফোর সাইট। গত ২০১৯ সালে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে নিম্মমানের কাজের অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় নাম মাত্র সংস্কার করা হলেও উদ্বোধনের আগেই বর্তমানে সেটা ফের সংস্কার কাজের সময় হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন উপজেলায় খেলাধুলার মান-উন্নয়নের জন্য সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ট পূত্র শেখ রাসেলের নামে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু করে। এর মধ্যে জেলার ভূঞাপুর উপজেলায় এই মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। ভূঞাপুর উপজেলার শিয়ালকোল এলাকায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে নিম্মমানের কাজের অভিযোগ উঠে এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়।এরপরও কোনরকম নয়ছয় করে নির্মাণের কাজ শেষ করে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আকতার এন্টারপ্রাইজ এবং ফোর সাইট কোম্পানী ।কাজের মধ্যে ছিলো একতলার প্যাভিলিয়ন ভবন, পাবলিক টয়লেট , আধুনিক ফুটবল গোলপোস্ট, মাঠে মাটি ভরাট ও মাঠের চারিদিকে দর্শকদের বসার জন্য ইট-সিমেন্ট দিয়ে বেঞ্চ তৈরি করার কথা। এদিকে ভূঞাপুর পৌরসভার শিয়ালকোল হাট সংলগ্ন যেখানে স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে পূর্বে সেখানে হেলিপ্যাড ছিল। ফলে সেই মাঠের জায়গাটা ছিল ঘাটাইল-ভূঞাপুর সংযোগ সড়ক থেকে র্৩ ফুট উচু। সেখানে ইট দিয়ে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছিল।
স্থানীয় খেলোয়াড় শাহিন, ইয়ামিন সরকার, রাজিব তালুকদার, জাহিদুল ইসলাম,রবিন ও চয়নসহ অনেকেই বলেন, মাঠটি বর্তমানে খেলার অনউপযোগি। খেলাধুলার কোন পরিবেশ নেই।
স্থানীয় প্রবীন খেলোয়ার হারুন অর রশিদ বলেন, শিয়ালকোল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। খেলাধুলার কোন পরিবেশ নেই।হেলিপ্যাড মাঠের মাটি ভরাটতো দুরের কথা উল্টো সেখানকার মাটি বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় দিপালি স্পোটিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আক্তারুজ্জামান খান দিপালি বলেন, স্টেডিয়াম নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্মমানের কাজ হওয়ায় এটির নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই পলেস্তরা খসে যাচ্ছে এবং ফাটল ধরেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আক্তার এন্টারপ্রাইজের সাইট ম্যানেজার শামছুল হক সবুজ বলেন-শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কাজ ২০১৭ সালে টেন্ডার হওয়ার পর এটির নির্মাণ কাজ পায় আক্তার এন্টারপ্রাইজ ও ফোর সাইট। গত ২০১৯ সালে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে সেটা সংস্কার কাজের সময় হয়েছে। বিল্ডিংয়ের কিছু কিছু অংশে ফাটল, প্লাস্টার উঠে যাচ্ছে এবং মাঠের চারিদিকে বসানো চেয়ারগুলো ভেঙে পড়ে গেছে। এছাড়া মাটি ধসে গেছে বলে জেনেছি। অতিদ্রূত সেগুলোর সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন