ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বৃদ্ধিতে সচেষ্ট, একান্ত সাক্ষাৎকারে ডা:আব্দুস সোবহান
মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা,ভূঞাপুর : দিন দিন রোগীর সেবার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । ১ মার্চ ২০২২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা হিসাবে যোগদান করেন ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান। যোগদান করেই বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মান উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন,যেখানে যে সমস্যা পরিলক্ষিত হয় সেখানেই সমাধানের চেষ্ঠা চালিয়ে যান তার সাধ্যমত এমনটাই জানান একান্ত সাক্ষাৎকারে ডা:আব্দুস সোবহান ।
এ হাসপাতালে আগে যেখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রায়ই রিরম্ভনার স্বীকার হতে হতো সেখানে আজ রিরম্ভনার হাত থেকে রোগীদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যাতে রোগীরা এবং রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে এসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অস্বস্থি বোধ না করে স্বাদছন্দে সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন সেদিকে যথাযথ খেয়াল রাখছেন বলেও জানান তিনি। সেবা নিতে আসা রোগিদের ধরণ ও অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা -নিরীক্ষা দিচ্ছে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসকরা । এতে করে রোগীর চিকিৎসা সেবার মান ও ব্যয়বার অনেকটা সহজ হচ্ছে । সরকারি হাসপাতাল গুলোতে এমন অভিযোগ রয়েছে দালারের খপ্পরে পরে নিরীহ রোগীর স্বজনরা সর্বশান্ত হচ্ছে মাসের পর মাস বছরের পর বছর এমন শিরোনাম হয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সেখান থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে যাচ্ছে এ কর্মকর্তা। ভূঞাপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিন দেখা যায় জরুরী বিভাগসহ বিভিন্ন যায়গায় রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাটানি করছে ঔধষ কোম্পানির রিপ্রেজনটেটিবরা । তাদেরকে হাসপাতালের বাহিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে রোগি এবং তাদের স্বজনদেরকে রিপ্রেজনটেটিভদের বিরম্ভনার হাত থেকে অনেকটা নিস্কৃতি দিয়েছে বর্তমান দায়িত্বরত এই কর্মকর্তা। ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সে-রে এসিজি,ব্লাড টেস্ট, আলট্রসোগ্রাফি মেশিনগুলো আগের দিনে বছরের পর বছর অকেজো করে রেখে বাহিরে ক্লিনিকে পাঠানো হতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস ছোবহান এর দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর তার সার্বিক তত্তাবধানে যন্ত্রপাতিগুলো সচল থাকায় প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে রোগিরা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং অন্যান্য দিনগুলোতে জরুরী বিভাগে ২৪ ঘন্টা উপসহাকরী মেডিক্যাল অফিসারসহ এজন করে এমবিবিএস মেডিক্যাল অফিসার সার্বক্ষণিক রোগিদের সেবায় নিয়োজিত রাখা হচ্ছে। ভূঞাপুর এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসাল্টেন্ট ৪ জন আর.এম,ও ১জনসহ মোট ১৫ জন বিশেজ্ঞ‘ ডাক্তার ৩৫ জন নার্স রয়েছে রোগিদের সেবায় নিয়োজিত। ভূঞাপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্যান্য সেবার পাশাপাশি ইমার্জেন্সি সার্ভিস, আউট ডোর, ইনডোর, ডেন্টাল, ডিএনসি, মিডওয়াইফ,গাইনী সেবাসহ প্রায়ই সকল ধরণের সেবা প্রদানের সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস ছোবহান। এ হাসপাতালে সার্বিক উন্নয়ন ও সেবা প্রত্যাশীদের নিয়ে ভাবনায় আলাপ চারিতায় এই প্রতিবেদককে বলেন আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই । আমি মনে করি সবই পেয়েছি,মানুষের সেবা দেওয়া ছাড়া আমার কিছু চাওয়ার নেই। আমার ২ টি ছেলে ১টি ২০তম স্থান অধিকার করে ঢাকা মেডিকেলে পড়া শুনা করছে আর অপর ছেলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে পড়া শুনা করছে। আমার একটা ভাবনা যতদিন চাকরী আছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের সেবার মান বাড়িয়ে ভূঞাপুরের মানুষের আশা আকাংখা পূরণ করতে চাই। এ হাসপাতালে আসার পর , প্রসূতির মায়েদের প্রসব সমস্যা দূর করার জন্য এখানে সিজারীয়ানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডায়বেটিক রোগীরা বিভিন্ন জাযগায ভুল চিকিৎসা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে আসা রোগীদের আলাদা সুচিকিৎসার ব্যবস্থ্যা এবং তাদের বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানের ব্যবস্থা করেছি । এখানে একজন আলট্রাসোনোগ্রাফার টেকনিসিয়ান ও বিষেজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় তিনি নিজেই আলট্রাসোনোগ্রাফারের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তিনি আবার কিছু কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান।
আপনার মতামত লিখুন