ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অপারেশন থিয়েটার বন্ধ ১৯ বছর , ১ যুগ ধরে বিকল এক্সরে ও আলট্রা মেশিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামেই ৫০ শয্যা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে অপরেশন থিয়েটার বন্ধ। হাসপাতালের এক্সরে ও আলট্রাসনোগ্রাফী মেশিন নষ্ট এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। জরুরী বিভাগে রুগীরা অপেক্ষা করেন দীর্ঘ সময়। চিকিৎসা দেন মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ড। উন্নত চিকিৎসার নামে টাঙ্গাইর সদর হাসপাতালে রেফারের স্লিপ হাতে ধরিয়ে দিয়ে দায় সারেন তারা। ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল না থাকায় হাজারো রোগী বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা না পেয়ে বাধ্য হয়ে চিকিৎসার জন্য তাদেরকে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন ক্লিনিকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূঞাপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার সংকটের কারণে উপজেলার প্রায় ৫ লাখ জনগোষ্ঠি বঞ্চিত হচ্ছে সেবা থেকে। হাসপাতালটি ৩ টি উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল, গোপালপুর ও কালিহাতী থেকে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক, নার্স, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে কোনো সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। সরকারি বিধি মোতাবেক বিশেষজ্ঞসহ ২৭ জন চিকিৎসকের অনুমোদন রয়েছে। সেখানে কাগজে-কলমে ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে ১২টি। বাকি ১৫ জনের মধ্যে ৬ জন রয়েছেন ডেপুটেশনে। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একজন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ইউনানি, ডেন্টাল সার্জন, গাইনি, অর্থপেডিকস, শিশু বিশেষজ্ঞ একজন করে ও জেনারেল ফিজিশিয়ানসহ রয়েছে। এসব ডাক্তাররা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিনের বেশি অফিস করেন না। স্বাস্থ্য সহকারী, টেকনিশিয়ান, ল্যাবরেটরি এসিস্ট্যান্ট ও এমএলএসএস পদে ১টি করে পদ থাকলেও কোনো জনবল নেই। অফিস সহকারী ৩ জনের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১ জন, স্বাস্থ্য সহকারীর পদ শূন্য রয়েছে ৫টি। সিকিউরিটি গার্ড থাকার কথা ৩ জন, সেখানে রয়েছে মাত্র ১ জন। হাসপাতালে একটি এক্সরে মেশিন দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও সনোলজিস্ট না থাকায় সেটিও বিকল। প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে নামেমাত্র কিছু পরীক্ষা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুটি অ্যাম্বুলেন্স। আবাসিক রুগীদের রুমে নেই পর্যাপ্ত ফ্যান,মশারি। খাবারের মান নিয়েও আছে নানা অভিযোগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সামা বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। এব্যপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান হবে।

পরিচিতি ইব্রাহীম ভূইয়া

এটাও চেক করতে পারেন

ভূঞাপুরে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মা ক্লিনিক এ্যান্ড হাসপাতাল সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গালের ভূঞাপুরে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালকে সিলগালা করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *