ভূঞাপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ৪ ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে । নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শতশত পরিবার।
গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়ছেনে বর্ন্যাতরা। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব।তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। দিশেহারা হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলের মানুষ।অন্যদিকে ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা নদীর পানি গ্রামে প্রবশে করায় একটি পাকা সড়ক ভেঙে গেছে। এতে দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষের।সরেজমিনে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, ঘোষপাড়া, খানুরবাড়ী, ভালকুটয়িা, গাবসারা ইউনিয়নের জুংগিপুর রুলিপাড়া,চন্ডিপুর,চরচুন্দুনি রেহাই গাবসারা ও নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়া, নলছিয়া,মাটিকাটা ও অর্জুনা ইউনিয়নের বদ্রশিমুল,বোরারবয়ড়া,তাড়াই ও অর্জুনা গ্রামের কিছু অংশসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এসব এলাকায় দেখা গেছে যমুনা নদীর পাড় উপচে পানি প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ছেনে মানুষজন রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি আরও বাড়ছেু। গত দুই দিন ধরে ওইসব রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে দূর্ভোগে পড়েছে ¯’ানীয়রা। গোবন্দিাসী বাজারের কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর র্পযন্ত যমুনা নদীর ভূঞাপুর অংশে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পানি। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃিদ্ধর কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে।ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপজেলার ৪ ইউনিয়নের শতশত পরিবার।
ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়ার ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের জানান, পানির স্রোতের কারণে ভালকুটিয়া এলাকার পাকা রাস্তা ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিবছরই যমুনা নদীর পানি এলাকায় প্রবশে করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষজন। নদীতে স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণ করা হলে এলাকায় বন্যা হবে না।উপজলোর গোবিন্দাসী ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, বন্যার পানি লোকালয়ে আসায় কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়ায়া, খানুরবাড়ি, চিতুলিয়াপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামেরর মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে । ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও বর্ন্যাত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সার্বিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করে র্ঊধ্বতন র্কতৃপক্ষকে অবহতি করা হয়েছে । এ ছাড়া ভাঙন এলাকা ও বন্যাকবলিতদের খোজখবর রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুুতিও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন