খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ঐতিহাসিক জাহাজ ধ্বংসের দিন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
আজ ঐতিহাসিক জাহাজ ধ্বংসের দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১১ আগস্ট। ঐতিহাসিক জাহাজ ধ্বংসের দিন। যা এলাকাবাসির নিকট জাহাজমারা দিবস নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের এই দিনটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপুল পরিমান গোলাবারুদ, জ্বালানী ও রসদ বোঝাই ৭টি যুদ্ধ জাহাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে ভূঞাপুর যমুনা নদী হয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল। জাহাজগুলো টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীর ভূঞাপুরের মাটিকাটা নামক স্থানে যাত্রাবিরতি করে। বিষয়টি কাদেরিয়া বাহিনীর চৌকশ কমান্ডার হাবিবুর রহমান বীরবিক্রমের নজরে আসে। মুক্তিযোদ্ধারা এলাকার লোকজন নিয়ে ১০ আগস্ট জাহাজ দুটিতে আক্রমণ চালায়। তারা জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অস্ত্র বোঝাই জাহাজ এস.ইউ ইঞ্জিনিয়ার্স এল.সি-৩, ও এস.টি রাজনের দখল নেন। এসময় অন্য জাহাজ গুলো সিরাজগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়। দখলকৃত জাহাজদুটিতে রাখা ১ লক্ষ ২০ হাজার বাক্সে তৎকালিন ২১কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধারা লুটে নেয়। পরে ১১ আগস্ট জাহাজ দুটিতে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করা হয়। এঘটনায় ১১আগস্ট হতে ১৪ আগস্ট পযর্ন্ত পাক বাহিনীর সাথে কাদেরিয়া বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। এতে ৩ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয় এবং আহত হয় অন্তত ২০ জন। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসের ইতিহাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীদের হাতে এত বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখিনের নজির আর কোথাও নেই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই যুদ্ধকে পট পরিবর্তনকারী (ঞঁৎহরহম চড়রহঃ) অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়।পরবর্তীতে সিরাজকান্দী জাহাজমারা যুদ্ধে খোয়ানো অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পাক বাহিনী চারদিক থেকে সিরাজকান্দী মাটিকাটাসহ ভূঞাপুরে জল, স্থল ও আকাশ পথে অভিযান পরিচালনা করে। মুক্তিবাহিনী লুট করা সেই অস্ত্র দিয়েই সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবেলা করেন। জাহাজমারা যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ ও খোয়া যাওয়া অস্ত্র গোলা বারুদের ঘটনা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহুল ছিল যে, হারানো অস্ত্রসম্ভার উদ্ধার ও মুক্তিযোদ্ধাদের উৎখাতের জন্য আগত পাকিস্তানী বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হানাদার বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের প্রধান লে.এ.কে নিয়াজি। তিনি ভূঞাপুর ডাকবাংলোতে অবস্থান করে অভিযান পরিচালনা করছিলেন। এই ব্যাপক তৎরপরতা সত্তে¡ও হানাদার বাহিনী তাদের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। হানাদার বাহিনীর ৪৭ ব্রিগেড এই অঞ্চল দখলের চেষ্টা করে। বিমান বাহিনীর দুটি স্যাবর জেট বোমা হামলা চালায়। কিন্তু কাদেরিয়া বাহিনীর লুট করা অস্ত্র দিয়েই হানাদার বাহিনীকে সফলভাবে প্রতিহত করে। যুদ্ধকালীন গোলাবারুদ, ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজের গোলা বারুদের আঘাতে এবং পাক বাহিনীর পাল্টা হামলা ও বিমান আক্রমণে এলাকার ঘর বাড়ী ও প্রচুর সম্পদের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কমান্ডার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বের কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। কমান্ডার হাবিবুর রহমানের অসীম সাহসীকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে “বীরবিক্রম” উপাধিতে ভূষিত করেন।জাহাজ ধ্বংসের ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে সিরাজকান্দি নামক স্থানে প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়েছে। দিবসটি পালনের জন্য সরকারি ভাবে কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা পরিষদ,ভূঞাপুর ১২ আগস্ট শনিবার স্থানীয় স্বাধীনতা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
   
টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার স্বাস্থ্্য কমপ্লেক্স অভ্যান্তরীন কোন্দলের কারণে তালা মেরেছে দিয়েছে কর্মচারিরা। এতে শতশত রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের স্টাফ রানা মিয়ার নেতৃত্বে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়েছে কর্মচারীরা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপে¬ক্সের বর্হিবিভাগ ছাড়াও অন্যান্য গেটগুলোতে তালা দেয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে বর্হি-বিভাগের একজন চিকিৎসককে ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় সকল চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালে এসে ফিরে গেছেন।
অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীরা টিএইচও আব্দুস সোবাহান ও আরএমও’র ডা. এনামুল হক সোহেলের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করে। এতে ভোগান্তিতে পরে শতশত রোগী।
এরআগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচও) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষে বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, সকালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেখি হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলছে। কেউ নেই ভিতরে। কর্মচারীরা হাসপাতালের বাইরে দাড়িয়ে আছে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিবো সেখানেও শতশত মানুষের ভীড়।

হাসপাতালের স্টোর কিপার রানা মিয়া জানান, গতকাল রাতে দুইজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়েছে।

হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, টিএইচও আব্দুস সোবাহান এবং আরএমও’ এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্ব›েদ্বর জেরে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে । ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে যেতে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়া ওই চিকিৎসক জানান, বর্হিবিভাগে যাওয়ার সময় লোকজন বাঁধা দেয় এবং হামলা করার চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দ্রæত হাসপাতাল ত্যাগ করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) আব্দুস সোবাহান বলেন, আরএমওসহ
কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। হাসপাতালের তালা ঝুলানোর বিষয়টি জানা নেই। তিনজন চিকিৎসকসহ সেকমোরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতালে। যারা হাসপাতালে
আসেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা সিভিল সার্জন মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, হাসপাতালের দুই কর্মকর্তার সাথে দ্ব›েদ্বর জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ কথা শোনেনি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
   
ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবদেক: সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে দিবসটি পালন উপলক্ষে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকম্প ও অগ্নি সচেতনতা বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিমা বিনতে আখতার। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ আলম প্রামানিক, এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. স্বপন আলীসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্বপ্রস্তুতি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অগ্নি ও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ক মহড়া প্রদর্শিত হয়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানানো হয়।

কালিহাতীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত-৩ আহত – ৫

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩২ অপরাহ্ণ
   
কালিহাতীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ  নিহত-৩ আহত – ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :  টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়কের সল্লা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন, অটোরিকশা চালক ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের চেংটাপাড়া এলাকার চান্দু মণ্ডলের ছেলে শওকত মণ্ডল ও অটোরিকশার যাত্রী ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকার নয়ন চন্দ্র দাস। নয়ন পূজা উপলক্ষে তার শ্বশুরবাড়ি সল্লা বেড়াতে এসেছিলেন। আরেক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যারপর উপজেলার দেউপুর পূজা মণ্ডপ থেকে অটোরিকশায় সল্লা ফিরছিলেন ৭ পূজারী। পথিমধ্যে মহাসড়ক পার হবার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী অরিন ট্রাভেলসের একটি বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়৷ এতে অটোরিকশায় থাকা শিশুসহ ৮জন গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে নয়নের মৃত্যু হয়। অন্য আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে অটোরিকশার চালক শওকত মন্ডলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আজ আরেক জনের মৃত্যু হয়।বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক আবিদ হোসেন খান জানান, বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশা উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হলেও বাসের চালক পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।