খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ইউএনও জিনাত জাহান টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলার ১০টিতেই নারী ইউএনও

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদটা অনেক চ্যালেঞ্জিং  ইউএনও জিনাত জাহান  টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলার ১০টিতেই নারী ইউএনও

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল জেলার ১২ উপজেলার ১০টিতেই নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন নারী। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন জিনাত জাহান।

ইউএনও জিনাত জাহান সম্প্রতি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিভিন্ন বিষয়সহ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। সরকার নিদের্শিত সকল ধরনের কাজ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনে সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে হয়। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সকল বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। এবং আমি সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি। আমি এ ধারণা পোষণ করি, সকল প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ এর মধ্যে দিয়ে এ কাজটি সফলতার সাথে চালিয়ে নিতে পারছি।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সমস্যা ও সমাধান বিষয়ে তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ন্যাচারাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি বন্যা কবলিত সমস্যা। আমাদের বারোটা ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়ন বন্যার সময় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়- সে সময় এ ক্ষয়ক্ষতি কাঁটিয়ে উঠতে আমাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়। তবে আমরা সমন্বয় সাধন করে কাজ চালিয়ে যাই। টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় আসার পর আমি যে কাজগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তার মধ্যে বর্তমানে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন অন্যতম। আমরা সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কর্তব্য হিসেবে কিছু কাজ চালু করেছি। যেমন অফিসের পিছনে যে সব মৎষ চাষীরা রয়েছেন তাদের একটা সংগঠন থাকে, তাদের সাথে আমারা মতবিনিময় করি। তারা যেন পুকুর পাড়ে বসে আমাদের সেবা পেতে পারেন আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে অনলাইন গণশুনানী করি।

সাধারণ মানুষ তার সমস্যার কথা ইউনিয়নে বসে বলতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। টেলিমেডিসিন কার্যক্রম করেছি। টাঙ্গাইলে বারোটি উপজেলার মধ্যে সর্বপ্রথম এটি আমি চালু করেছি। সকল ধরনের সেবা যাতে মানুষ সহজেই পেতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। তাদের কষ্ট করে সদর হাসাপাতালে আসতে না হয় সেজন্য তাদের কথা বিবেচনা করে এটা করেছি। যেগুলো আমার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে সেই সেবা গুলো প্রেরণ করি। এছাড়াও আমি ৫-৬টি ইউনিয়নে সকল ধরণের ডিজিটাল কার্যক্রম চালু করেছি।

নির্বাহী অফিসারের বাসভবন আগে এখানে ছিল না এবং ৩৫ বছরেও করা হয়নি, সেটি আমি এসেই সরকারি সহযোগীতায় করেছি। জেলা প্রশাসক, এমপিসহ সকলে মিলে এটা উদ্বোধন করি। আমি মনে করি এটা বড় একটি কর্মযোগ্য কাজ। আগেই হওয়া উচিত ছিল। এবং উপজেলা চত্বরে সুন্দর একটি শহীদ মিনার করেছি।

তিনি তার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বলেন, আমি স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছি। মেধা তালিকায় আমার স্থান ছিল বোর্ডে। তখন মেধা তালিকা হতো। শিক্ষা জীবনের ধারাবাহিক সাফল্যেই ২৭তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার পদে মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১০ বছর পূর্বে যোগদান করি। কর্ম জীবনের শুরু থেকেই দৃঢ়তা, সততা আর দক্ষতা দিয়েই পেশাজীবনে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছি। গত ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও’র) দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, এই দায়িত্ব গ্রহণের পরই সদর উপজেলাবাসী পেয়েছেন জেলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল নাগরিক সেবা পদ্ধতি। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অন্যতম সমস্যাগুলোর মধ্যে মাদক সমস্যা অন্যতম। সদর উপজেলাকে মাদক মুক্ত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ও আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

বাল্যবিয়ে দূরীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা পেতে যাতে কারো কোন সমস্যা না হয় ও দ্রুততম সময়ে পেতে পারেন সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।

টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
   
টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার স্বাস্থ্্য কমপ্লেক্স অভ্যান্তরীন কোন্দলের কারণে তালা মেরেছে দিয়েছে কর্মচারিরা। এতে শতশত রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের স্টাফ রানা মিয়ার নেতৃত্বে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়েছে কর্মচারীরা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপে¬ক্সের বর্হিবিভাগ ছাড়াও অন্যান্য গেটগুলোতে তালা দেয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে বর্হি-বিভাগের একজন চিকিৎসককে ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় সকল চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালে এসে ফিরে গেছেন।
অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীরা টিএইচও আব্দুস সোবাহান ও আরএমও’র ডা. এনামুল হক সোহেলের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করে। এতে ভোগান্তিতে পরে শতশত রোগী।
এরআগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচও) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষে বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, সকালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেখি হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলছে। কেউ নেই ভিতরে। কর্মচারীরা হাসপাতালের বাইরে দাড়িয়ে আছে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিবো সেখানেও শতশত মানুষের ভীড়।

হাসপাতালের স্টোর কিপার রানা মিয়া জানান, গতকাল রাতে দুইজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়েছে।

হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, টিএইচও আব্দুস সোবাহান এবং আরএমও’ এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্ব›েদ্বর জেরে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে । ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে যেতে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়া ওই চিকিৎসক জানান, বর্হিবিভাগে যাওয়ার সময় লোকজন বাঁধা দেয় এবং হামলা করার চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দ্রæত হাসপাতাল ত্যাগ করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) আব্দুস সোবাহান বলেন, আরএমওসহ
কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। হাসপাতালের তালা ঝুলানোর বিষয়টি জানা নেই। তিনজন চিকিৎসকসহ সেকমোরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতালে। যারা হাসপাতালে
আসেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা সিভিল সার্জন মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, হাসপাতালের দুই কর্মকর্তার সাথে দ্ব›েদ্বর জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ কথা শোনেনি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
   
ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবদেক: সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে দিবসটি পালন উপলক্ষে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকম্প ও অগ্নি সচেতনতা বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিমা বিনতে আখতার। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ আলম প্রামানিক, এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. স্বপন আলীসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্বপ্রস্তুতি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অগ্নি ও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ক মহড়া প্রদর্শিত হয়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানানো হয়।

কালিহাতীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত-৩ আহত – ৫

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩২ অপরাহ্ণ
   
কালিহাতীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ  নিহত-৩ আহত – ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :  টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু সড়কের সল্লা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন, অটোরিকশা চালক ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের চেংটাপাড়া এলাকার চান্দু মণ্ডলের ছেলে শওকত মণ্ডল ও অটোরিকশার যাত্রী ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকার নয়ন চন্দ্র দাস। নয়ন পূজা উপলক্ষে তার শ্বশুরবাড়ি সল্লা বেড়াতে এসেছিলেন। আরেক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যারপর উপজেলার দেউপুর পূজা মণ্ডপ থেকে অটোরিকশায় সল্লা ফিরছিলেন ৭ পূজারী। পথিমধ্যে মহাসড়ক পার হবার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী অরিন ট্রাভেলসের একটি বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়৷ এতে অটোরিকশায় থাকা শিশুসহ ৮জন গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে নয়নের মৃত্যু হয়। অন্য আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে অটোরিকশার চালক শওকত মন্ডলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আজ আরেক জনের মৃত্যু হয়।বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপপরিদর্শক আবিদ হোসেন খান জানান, বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশা উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হলেও বাসের চালক পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।