খুঁজুন
শুক্রবার, ২৫শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের এক বছর পর মারা গেল ৮ বছর বয়সের শিশু‌ আছিয়া

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯, ১:৪৪ অপরাহ্ণ
ধর্ষণের এক বছর পর মারা গেল ৮ বছর বয়সের শিশু‌ আছিয়া

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে ধর্ষ‌ণের এক বছর পর মারা গে‌ছে ৮ বছর বয়সের শিশু আছিয়া। সোমবার (১৭ জুন) ভোররাতে ঢাকায় স্বজনের বাসায় শিশু‌টি মারা যায়। ধর্ষণের কারণে শারীরিক অবস্থার অবন‌তি হওয়ায় দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থান ক‌রে চি‌কিৎসা নি‌চ্ছিল শিশু আছিয়ার ।

গত বছর ৯জুন কালিহাতী উপ‌জেলার মালতী গ্রামের তায়েজ আলীর ছেলে মাহবুব বি‌ভিন্ন প্র‌লোভন দে‌খি‌য়ে আছিয়া‌কে ডেকে তা‌দের বা‌ড়ি‌তে নি‌য়ে যায়। ঘ‌রের একটি কক্ষে তা‌কে ধর্ষণ ক‌রে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হ‌য়ে পড়‌লে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হয়। প‌রে চি‌কিৎসক ধর্ষ‌ণ হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জানায় প‌রিবার‌কে।
এরপর আছিয়ার বাবা আশরাফ আলী বাদী হ‌য়ে মাহবুবকে আসামি ক‌রে ধর্ষণ মামলা ক‌রেন। ধর্ষ‌ণের ঘটনা ধামাচাপা দি‌তে স্থানীয় প্রভাবশালীরা চাপ সৃ‌ষ্টি ক‌রেছিলেনআছিয়ার বাবা আশরাফ আলীকে। প‌রে পু‌লিশ ধর্ষক মাহবুব‌কে গ্রেফতার ক‌রে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এর কিছু‌দিন পর তিনি জা‌মি‌নে বের হ‌য়ে আসেন।

শিশু‌ আছিয়ার নানা হযরত আলী খান প্রতিবেদককে ব‌লেন, ‘ঢাকায় আত্মী‌য়ের এক‌টি বাসায় সোমবার ভোর রা‌তে আছিয়া ব্যাথা অনুভব ক‌রে ছটফট কর‌তে থা‌কে। প‌রে হাসপাতা‌লে নেওয়ার আগেই সে মারা যায়। দুপু‌রের দি‌কে তা‌কে গ্রা‌মের বা‌ড়ি উপ‌জেলার মালতী গ্রা‌মে আনা হয়। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ বা‌ড়ি‌তে এসে তার দাফ‌নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ কর‌তে ব‌লেন।’

টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লের অন‌স্টোপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার (পিও) মো. বাইজিদ  জানান, সে সময় ধর্ষ‌ণের ফ‌লে আছিয়ার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এতে মলদার ও যৌনা‌ঙ্গ ছি‌ড়ে গি‌য়ে এক হ‌য়ে যায়। এতে আট‌টি সেলাই করার পরও তার শারী‌রিক অবস্থা অবন‌তি হওয়ায় ওই সময় তা‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হয়। টানা এক বছর ঢাকায় অবস্থান ক‌রে চি‌কিৎসা নি‌চ্ছিল শিশু‌টি।

কা‌লিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হো‌সেন  ব‌লেন, ‘ধর্ষ‌ণের ঘটনায় সে সময় ধর্ষক মাহবুব‌কে গ্রেফতার ক‌রে কো‌র্টে পাঠানো হ‌য়ে‌ছিল। পু‌লি‌শের প‌ক্ষ থে‌কে আদাল‌তে চার্জশিট দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। বর্তমা‌নে মামলা‌টি বিচারাধীন র‌য়ে‌ছে।

ভূঞাপুরে দূর্নীতি বিরোধ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
   
ভূঞাপুরে দূর্নীতি বিরোধ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দূর্নীতি বিরোধ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা কনফারেন্স রুমে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী  বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলার ভূঞাপুর পাইলট বালক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়, ফলদা রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয় ও নিকরাইল বেগম মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহণ করেন। ফাইনাল রাউন্ডে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় অংশ নেন। ফাইনাল রাউন্ডে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম স্থান অর্জন করে।বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মর্ডারেটরের দ্বায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান। বিচারকের দ্বায়িত্বে ছিলেন- একাডেমিক সুপারভাইজার তাহমিনা তাবাসসুম, শহিদ জিয়া মহিলা কলেজের প্রভাষক আলী রেজা ও সঞ্জয় দাশ। এসময় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভূঞাপুরে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
   
ভূঞাপুরে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এতে তুলা, লেপ তোষক ও স্বর্ণকারের বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিম উদ্দিন  খান সুপার মার্কেটের দোতলায় তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রাপাত বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানায়- বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে খান সুপার মার্কেটের দোতলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এসময় মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। আশেপাশের লোকজন আগুন নেভানোর শত চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে তুলা, লেপ তোষক ও দোকানের মালামাল ও অন্যান্য আসবাবপত্র সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।স্বর্ণকার সুজন বলেন- আমি দোকানেই ছিলাম। হঠাৎ শুনতে পাই উপরে আগুন ধরেছে। পরে দেখি দোতলায় রাখা তুলার গোডাউনে আগুন ধরেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।খান সুপার মার্কেটের মালিক ও ব্যবসায়ী মোঃ আজিম উদ্দিন বলেন, মার্কেটে আমার লেপ তোষক ও গার্মেন্টস, একটি স্বর্ণকারের দোকান ও দোতলায় তুলার গোডাউন রয়েছে। আমরা দোকানেই ছিলাম। হঠাৎ লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে বুঝতে পারি দোতলায় তুলার গোডাউনে আগুন লেগেছে। স্থানীয় লোকজন অনেক চেষ্টা করে আগুন নেভানোর জন্য। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আরো বলেন- আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার এবং স্বর্ণকার সুজনের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মিলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এ ঘটনায় ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোঃ স্বপন আলী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই। তাদের তথ্যমতে, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায়। তিনি আরো বলেন-  বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রাপাত বলে জানান তারা।
এবিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ একেএম রেজাউল করিম বলেন, গোবিন্দাসী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রাপাত বলে জানা গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।

টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
   
টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার স্বাস্থ্্য কমপ্লেক্স অভ্যান্তরীন কোন্দলের কারণে তালা মেরেছে দিয়েছে কর্মচারিরা। এতে শতশত রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের স্টাফ রানা মিয়ার নেতৃত্বে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়েছে কর্মচারীরা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপে¬ক্সের বর্হিবিভাগ ছাড়াও অন্যান্য গেটগুলোতে তালা দেয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে বর্হি-বিভাগের একজন চিকিৎসককে ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় সকল চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালে এসে ফিরে গেছেন।
অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীরা টিএইচও আব্দুস সোবাহান ও আরএমও’র ডা. এনামুল হক সোহেলের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করে। এতে ভোগান্তিতে পরে শতশত রোগী।
এরআগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচও) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষে বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, সকালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেখি হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলছে। কেউ নেই ভিতরে। কর্মচারীরা হাসপাতালের বাইরে দাড়িয়ে আছে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিবো সেখানেও শতশত মানুষের ভীড়।

হাসপাতালের স্টোর কিপার রানা মিয়া জানান, গতকাল রাতে দুইজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়েছে।

হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, টিএইচও আব্দুস সোবাহান এবং আরএমও’ এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্ব›েদ্বর জেরে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে । ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে যেতে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়া ওই চিকিৎসক জানান, বর্হিবিভাগে যাওয়ার সময় লোকজন বাঁধা দেয় এবং হামলা করার চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দ্রæত হাসপাতাল ত্যাগ করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) আব্দুস সোবাহান বলেন, আরএমওসহ
কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। হাসপাতালের তালা ঝুলানোর বিষয়টি জানা নেই। তিনজন চিকিৎসকসহ সেকমোরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতালে। যারা হাসপাতালে
আসেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা সিভিল সার্জন মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, হাসপাতালের দুই কর্মকর্তার সাথে দ্ব›েদ্বর জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ কথা শোনেনি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।