খুঁজুন
বুধবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুঞাপুরে ভূট্রা চাষে লাভবান হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
ভুঞাপুরে ভূট্রা চাষে লাভবান হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলায় ভূট্রা চাষে লাভবান হচ্ছে যমুনার চরাঞ্চলের কৃষকরা । অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্রা আবাদে তুলনামূলক খরচ কম ও উৎপাদন বেশি। এছাড়া উৎপাদিত ভুট্রা বাজারে ভাল দরে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এজন্য ভুট্রা চাষ করছেন। তবে এবছর ভূট্রার ফলন ভালো হলেও বর্তমান বাজার দরে হতাশা প্রকাশ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

জানাযায়, ভুঞাপুর উপজেলার যমুনার বুকে জেগে উঠা ৪ টি ইউনিয়ন অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ব্যাপক পরিমানে ভুট্রা আবাদ করেছেন। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ভুট্রার চাষের মাধ্যমে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। বন্যার পানিতে পলি জমে জমি আরো উর্বর হয়েছে। তাই ভুট্টা চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলনও হয়েছে। আশানুরূপ ফলন হলেও বর্তমান বাজারদর কম হওয়ার কারণে চিন্তায় আছেন ভূট্রা চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলসহ উপজেলায় ৩ হাজার ১০ হেক্টর ভুট্রার আবাদ হয়েছে। এতে ২৭ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন ভুট্রা উৎপাদন হয়েছে।

উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনা চরাঞ্চলের ভুট্রা চাষি মহর আলী তালুকদার,আব্দুল মালেক সহ আরো কয়েকজন কৃষক বলেন, বন্যার কারণে আমাদের তৈরী করা বীজতলা, সবজি খেত ও ফসল সব নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বালু চরের জমিতে ভুট্রার আবাদ করেছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন বেশি হয়েছে। তবে বর্তমান বাজার দর কম। স্থানীয় হাটে প্রতিমণ শুকনো ভুট্রা ৯০০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর এমন থাকলে আমরা লাভ করতে পারবো না।কারন সার কিট নাশকের দাম বেশি। রেহাই গাবসারার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান আমি ৭ বিঘা জমিতে ভূট্ট্রা চাষ করেছি এবছর যেমন দেখছি তাতে বিঘাতে ৩২ মন ছাড়িয়ে যাবে আসা করছি।একই গ্রামের সায়েদ আলী জানান যেভাবে ভুট্ট্রা চাষ হয়েছে এতে করে আমাদের ভাগ্যের পরিবতন হবে কারন এত বেশি ভূট্ট্রার আবাদ এর আগে কখনো হয় নাই।রামপুর গ্রামের ভুট্রা চাষি চান্দু শেখ বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পলি জমে জমি আরো উর্বর হয়। তাছাড়া এখানকার মাটি ভুট্রা চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। এবছর আমি ১৫ বিঘা জমিতে ভুট্রার চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ২৫-৩০ মণ করে ফলন পেয়েছি। সকল খরচ বাদ দিয়ে ৩ লাখ টাকা লাভের আশা থাকলেও বর্তমান বাজার দর কম থাকায় সেই আশা করতে পারছি না। গত বছর প্রতিমণ ভুট্রা ১২০০-১৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারলেও এবছর ৮শত থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চলতি বছর যমুনার চরাঞ্চলে ২ হাজার ১৫২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। কম খরচে চাষ করে বেশি উৎপাদন করা যায় বলে কৃষকরা এবছর ভূট্রা চাষে ঝুঁকছেন। আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে উন্নত মানের বীজ ও সার বিতরন করেছি। এছাড়াও আমরা মাঠ পর্যায়ে যেয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

ভূঞাপুরে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
   
ভূঞাপুরে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এতে তুলা, লেপ তোষক ও স্বর্ণকারের বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।রবিবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিম উদ্দিন  খান সুপার মার্কেটের দোতলায় তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রাপাত বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানায়- বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে খান সুপার মার্কেটের দোতলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এসময় মুহূর্তের মধ্যেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। আশেপাশের লোকজন আগুন নেভানোর শত চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে তুলা, লেপ তোষক ও দোকানের মালামাল ও অন্যান্য আসবাবপত্র সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।স্বর্ণকার সুজন বলেন- আমি দোকানেই ছিলাম। হঠাৎ শুনতে পাই উপরে আগুন ধরেছে। পরে দেখি দোতলায় রাখা তুলার গোডাউনে আগুন ধরেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।খান সুপার মার্কেটের মালিক ও ব্যবসায়ী মোঃ আজিম উদ্দিন বলেন, মার্কেটে আমার লেপ তোষক ও গার্মেন্টস, একটি স্বর্ণকারের দোকান ও দোতলায় তুলার গোডাউন রয়েছে। আমরা দোকানেই ছিলাম। হঠাৎ লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে বুঝতে পারি দোতলায় তুলার গোডাউনে আগুন লেগেছে। স্থানীয় লোকজন অনেক চেষ্টা করে আগুন নেভানোর জন্য। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি আরো বলেন- আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার এবং স্বর্ণকার সুজনের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মিলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এ ঘটনায় ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোঃ স্বপন আলী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই। তাদের তথ্যমতে, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায়। তিনি আরো বলেন-  বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রাপাত বলে জানান তারা।
এবিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ একেএম রেজাউল করিম বলেন, গোবিন্দাসী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রাপাত বলে জানা গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।

টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
   
টিএইও-আরএমও দন্দ ভূঞাপুরে চিকিতসা সেবা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার স্বাস্থ্্য কমপ্লেক্স অভ্যান্তরীন কোন্দলের কারণে তালা মেরেছে দিয়েছে কর্মচারিরা। এতে শতশত রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের স্টাফ রানা মিয়ার নেতৃত্বে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়েছে কর্মচারীরা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপে¬ক্সের বর্হিবিভাগ ছাড়াও অন্যান্য গেটগুলোতে তালা দেয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে বর্হি-বিভাগের একজন চিকিৎসককে ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় সকল চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতালে এসে ফিরে গেছেন।
অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মচারীরা টিএইচও আব্দুস সোবাহান ও আরএমও’র ডা. এনামুল হক সোহেলের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করে। এতে ভোগান্তিতে পরে শতশত রোগী।
এরআগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচও) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষে বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, সকালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দেখি হাসপাতালের গেটে তালা ঝুলছে। কেউ নেই ভিতরে। কর্মচারীরা হাসপাতালের বাইরে দাড়িয়ে আছে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিবো সেখানেও শতশত মানুষের ভীড়।

হাসপাতালের স্টোর কিপার রানা মিয়া জানান, গতকাল রাতে দুইজন ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়েছে।

হাসপাতালের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, টিএইচও আব্দুস সোবাহান এবং আরএমও’ এনামুল হক সোহেলের মধ্যে দ্ব›েদ্বর জেরে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে । ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে যেতে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়া ওই চিকিৎসক জানান, বর্হিবিভাগে যাওয়ার সময় লোকজন বাঁধা দেয় এবং হামলা করার চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তাহীনতার কারণে দ্রæত হাসপাতাল ত্যাগ করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) আব্দুস সোবাহান বলেন, আরএমওসহ
কয়েকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। হাসপাতালের তালা ঝুলানোর বিষয়টি জানা নেই। তিনজন চিকিৎসকসহ সেকমোরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতালে। যারা হাসপাতালে
আসেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা সিভিল সার্জন মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, হাসপাতালের দুই কর্মকর্তার সাথে দ্ব›েদ্বর জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ কথা শোনেনি। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
   
ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবদেক: সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে দিবসটি পালন উপলক্ষে ভূঞাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালি, আলোচনা সভা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকম্প ও অগ্নি সচেতনতা বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিমা বিনতে আখতার। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ আলম প্রামানিক, এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. স্বপন আলীসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্বপ্রস্তুতি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অগ্নি ও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ক মহড়া প্রদর্শিত হয়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানানো হয়।