লোকাল নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ী সড়কের ভাঙন ও ভাঙন কবলিত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার। শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে ওই ভাঙন কবলিত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেন তিনি।ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার সাংবাদিকদের জানান, ভূঞাপুর-তারাকান্দি রাস্তা যমুনা সার কারখানার জন্য গুরুতপূর্ণ বিধায় জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন অংশে জিওব্যাগ ফেলে গাড়ী চলাচলের উপযোগী করা হবে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, যমুনার পশ্চিমাংশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে, পূর্বাংশে প্রাথমিকভাবে কাজ চলছে, জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থেকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পর্যন্ত ভাঙন রোধে সার্ভে করে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন্যায় জলাবদ্ধদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড্ভোকেট মো. আব্দুল হালিম, গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার (ঠান্ডু), ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ জানান, যমুনায় বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে অর্জুনা ইউনিয়নের তাড়াই বাঁধ ভূঞাপুর পৌরসভার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের টেপিবাড়ীর (মলাদহ) অংশ ভেঙে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এক যোগে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত প্রকাশ, গত বুধবার (১৭ জুলাই) রাত ১২টার দিকে এই ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের পাশে তাড়াই গ্রামের রাস্তা ও পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরের দিকে টেপিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পাড় ভেঙে গিয়ে ১০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।