ভূঞাপুরে আধুনিক ভাবে সেঁচ পাম্পে ইরি ধান চাষ

আ: রশিদ তালুকদার : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ছোট নলছিয়া পাড়া গ্রামের শুকুর আলীর সেঁচ পাম্পঃ- আজ থেকে ২০ বছর আগে যমুনা নদীর যখন তীব্র ভাঙ্গন ছিলো তখন কেউ চিস্তা করতে পারেনি যে, এই যমুনাতে এক সময় ইরি রোপন করা সম্ভব হবে। সেই নদী এখন প্রায় মরুভূমি হিসাবে ব্যবহার হয়। যমুনা নদীর চরগুলো এখন পরিপূর্ণ ফসলে ভরে যাচ্ছে, কৃষকদের মুখে প্রচন্ড হাঁসি কারো মধ্যে কোন অভাবের লেশ মাত্র নেই, সেই নদীতে এখন ইরি ধান চাষ হচ্ছে। ফলনও ভালো, শুকুর আলী কৃষক, জমি জমা তেমন নেই কিন্তু এখন অনেক ভালো চলে, এক সময় অনেক কষ্ট করত, তার বয়সে কত বার বাড়ী ভেঙ্গে বিলীন হয়েছে যমুনা নদীতে তার কোন হিসাব নেই, যমুনা নদীর সাথে যুদ্ধ করে আজও টিকে আছে।
একটু জমিতে ইরি ধান চাষ করছে। কিন্তু পানি দেবার কোন আধুনিক যন্ত্র তার না থাকার ধরুন পুরোনো আমলের সেই কাঠ আর বাঁশ দিয়ে বানিয়ে ফেলছেন সেচ যন্ত্র। শুকুর আলীর সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন এই ৬০ বছর বয়সেও আমি অনেক শক্তিশালী পরিশ্রম করতে পারি ছোট খাটো রোগ আমাকে ধরতে পারে না, কাজ শেষে আমি প্রতিদিন চোঁখে কাজল মেখে ভালো কাপড় পরিধান করে গ্রামের বাজারে সবার সাথে আড্ডা দেই।
আগে গ্রামে কোন হাট বাজার ছিল না বাড়ী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে গোবিন্দাসী বাজার থেকে বাজার এনে খাইতে হতো, কিন্তু এখন আর হাঁটতে হয় না আমাদের এলাকাতেই এখন দুটি হাট হয়েছে আমরা প্রতিদিন এখান থেকেই বাজার করতে পারি। তবু স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তা হাটি। ধানের আবাদ ভালো হয়েছে আশা করি উপর ওলা সহায় থাকলে ভালো ফলন পাবো।

পরিচিতি ইব্রাহীম ভূইয়া

এটাও চেক করতে পারেন

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি‘র ১০দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে জনসমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, বিদ্যুৎ, গ্যাস’সহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, বর্তমান সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতি, …

Leave a Reply

Your email address will not be published.