লোকাল নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে চরাঞ্চলে বন্যার অবনতি হয়েছে। যমুনার পানি বৃদ্বি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ।রোপা আমন,কাতি কালাই, ধানের চারাসহ বিভিন্ন সবজি তলিয়ে গেছে। নতুন করে যমুনায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।স্কুলে যেতে পারছেনা কমলমতি শিশুরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুড়ে দেখা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা, বরুয়া, কুঠিবয়ড়া, জাগৎপুরা, তারাই, বলরামপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যমুনার পাড়ের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, যমুনার পানি বাড়ার কারনে বসতি ভিটা, স্কুল মাদ্রাসা, মসজিদ, রাস্তা-ঘাট নদীর গর্ভের চলে গিয়েছে।এছাড়া বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।বন্যার পানি আসার সাথে সাথে সাপের উপদ্রপ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে নৌকার মাধ্যমে এক বাড়ি হতে আরেকবাড়ী যাতায়াত করতে হচ্ছে ভানবাসি মানুষের।এজন্য যমুনার পাড়ে স্থায়ী বেড়িবাধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। বসতি ভিটা নদীর গর্ভে যাওয়ার কারনে অনেকেই রাস্তার পাড়ে আবার অনেকেই অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে। অযতœ আর অবহেলায় রয়েছে গৃহপালিত গবাদি-পশু। আবার অনেকেই নৌকার মধ্যে রাত্রি যাপন করছে। অন্যদিকে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বিভিন্ন এলাকায় তাৎক্ষনিক ভাবে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এডভোকেট বলেন, ‘‘কয়েকদিন যাবত উপজেলার কুঠিবয়ড়া,অর্জুনা, বরুয়া, জগৎপুরা, তারাই, বলরামপুরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের বিষয়টি গত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে থেকে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। যা ভাঙ্গন রোধে কাজ করবে।” এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কয়েকদিনে অনেকটাই বৃদ্বি পেয়েছে তবে পানির গতি কম থাকায় আশা করছি পানি আর বৃদ্ধি পাবে না।তাছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনরোধে তাৎক্ষনিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলানোর হচ্ছে।
এটাও চেক করতে পারেন
ভূঞাপুর অঞ্চল কিন্ডারগার্টেন বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে “ভূঞাপুর অঞ্চল কিন্ডার গার্টেন” বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩ …