মো. মিজানুর রহমান: ভূঞাপুর পৌসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের ফসলান্দি মেধা বিকাশ কিন্ডার গার্টেন থেকে ভূঞাপুর কেন্দ্রিয় মসজিদ হয়ে কিরণের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির প্রায় ১০ভাগ কাজ না করার কারনে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছেু।
জানা যায়, পৌর এলাকার প্রাণ কেন্দ্রে অতি জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটির দুই পাশে ২শ মিটারের মধ্যে রয়েছে ১টি সরকারি পাইলট হাই স্কুল, ৬টি কিন্ডার গার্টেন, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সোনালী ব্যাংকসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এই রাস্তাটি ছাত্র ছাত্রীদের জন্য নিরাপদে চলাচলের সুযোগ থাকায় গড়ে উঠেছে অনেক কোচিং সেন্টার। সকাল হলেই ভিড় পড়ে যায় পাইভেট ও কোচিং সেন্টারে যাওয়া শিক্ষার্থীদের। এছাড়া এ রাস্তাটি ভূঞাপুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে গোবিন্দাসী গরুর হাটের রাস্তা থেকে ভূঞাপুর বাজারে প্রবেশের বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।

বর্তমানে রাস্তাটি ৪৪০মিটার সংস্কার ও প্রসস্থ্য করণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫৮ লাখ ১১হাজার টাকা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় রাস্তার মাঝের অংশের ১০ ভাগ কাজ না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নার্গিস এন্টারপ্রাইজ বাস্তবায়নকৃত কাজের টাকা উত্তোলন করেছে। এই ১০ ভাগ রাস্তার জন্য কোন প্রকার যান বাহন চলাচলসহ লোকজন চলতে পারেনা। ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গার উপর দিয়ে যাওয়ায় ওই জমির মালিক স্থিতি অবস্থা চেয়ে আদালতে মামলা করলে তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে রাস্তাটির বাকী ১০ভাগ সংস্কার না করলে সরকারের অর্থ ব্যয় বিফলে যাওয়াসহ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে চরম জনদুর্ভোগ থেকেই যাবে।
জমির মালিক হুমায়ুন কবির জানান, আমার ৯শতাংশ জায়গার উপর ঘর দিয়ে কিন্ডার গার্টেনের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে। পৌরসভা আমাকে কোন নোটিশ, সমঝোতা বা অধিগ্রহনের ব্যবস্থা না করেই রাস্তা নির্মাণ করতে চাইলে আমি আদলতের আশ্রয় নেই।
এব্যপারে পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ জানান, সকল নিয়ম কানুন মেনেই রাস্তা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কাজটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে।