নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় মো. শাহ্ আলম সরকার (৪৭) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬ টার দিকে ভ‚ঞাপুর পৌর এলাকার ছাব্বিশা কবরস্থানের পাশের একটি পুকুর পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।শাহ্ আলম সরকার ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের আথাইল শিমুল গ্রামের আব্দুল মজিদ সরকারের ছেলে। তিনি লোকেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভ‚ঞাপুর ল্যাব ওয়ান ক্লিনিকের মালিক।ছাব্বিশা গ্রামের রায়হান তালুকদার রাসেল জানান, ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির পাশে কবরস্থানের পুকুর পাড়ে কিছু সংখ্যক মানুষ জটলা করছে । সেখানে গিয়ে দেখি হাত-পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তি পড়ে আছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার হাত-পা ও মুখের বাঁধন খুলে দিয়ে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরতরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। পরে তার স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে টাঙ্গাইল হাসপাতালে নিয়ে যান।শাহ্ আলমের বরাত দিয়ে তার চাচাতো ভাই ওমর ফারুক বলেন, শাহ আলম রাজনীতির সাথে জড়িত। ভ‚ঞাপুরে তার ক্লিনিক ব্যবসা রয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় সে ঘাটাইলের নিজ বাসা থেকে ভ‚ঞাপুরে তার ল্যাব ওয়ান ক্লিনিকে আসার জন্য রওনা হন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় অপরিচিত দুজন লোক এসে তার সাথে কথা বলে। কথা বলার এক পর্যায়ে তার উপর চেতনানাশক প্রয়োগ করা হয়। সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। জ্ঞান ফিরলে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মাইক্রোবাসে নিজেকে দেখতে পায়। তার উপর দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। মঙ্গলবার ভোরে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় ভ‚ঞাপুর ছাব্বিশা গ্রামের কবরস্থানের পাশে তাকে ফেলে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদিকে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় ও ভ‚ঞাপর ক্লিনিকে তাকে না পেয়ে পরিবারের পক্ষথেকে সোমবার সকালে ঘাটাইল থানায় জিডি করা হয়।এ ব্যাপারে ভ‚ঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, হাত-পা ও মুখ বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় কাউকে উদ্ধারের বিষয়টি আমি অবহিত নই। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।