লোকাল নিউজ ডেস্ক : যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর অংশে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী থেকে ভালকুটিয়া পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন।
এতে ২/৩ দিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীণ হয়ে গেছে। এছাড়া ফসলি জমি ও গাছপালা চলে গেছে নদী গর্ভে । ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এদিকে নদী ভাঙনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবগত করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি এখনো এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছরে শত শত একর ফসলি জমি ও বসতভিটা চলে গেছে নদী গর্ভে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি মাদরাসা, মসজিদ ও ১টি মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও নদী পারে থাকা পুরাতন গোবিন্দাসী হাট। যেখান থেকে প্রতিবছর সরকার পেয়ে থাকে ৩ থেকে ৪কোটি টাকা রাজস্ব ।

গোবিন্দাসি গ্রামের আব্দুল লতিফ বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বাংলা ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারনেই এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোনো ভাবেই বসতভিটা রক্ষা করা যাবে না । বিগত দিনে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।
একই গ্রামের মো. রশিদ মাস্টার বলেন, গত কয়েক বছর পূর্বে আমার বাড়ী ও লেয়ার ফার্ম এ নদী গর্ভে চলে গেছে। এজন্য সরকারের কাছে আবেদন অতি শীঘ্রই খানুরবাড়ী থেকে চিতুলিয়াপাড়া পর্যন্ত বেরী বাঁধ চাই।
ভূক্তভোগী ইমান আলী বলেন, দীর্ঘদিনের বসতভিটা এ যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। আমি গরীব মানুষ, আমার পরিবার নিয়ে এখন কোথায় যাব? অন্যত্র বাড়ী করার মতো সামর্থ্যও আমার নেই।
সম্প্রতি নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় সাংসদ তানভীর হাসান ছোট মনির, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হালিম এড্ভোকেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ সহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
তবে নদী ভাঙনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবগত করলেও ভাঙ্গন রোধকল্পে কোন ব্যবস্থা নেয়নি টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড ।এমনকি কোনো কর্মকর্তার দেখা মেলিনি এ ভাঙন কবলিত এলাকায় এমন অভিযোগ রয়েছে ভূক্তভোগীদের । এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে নদী পারে থাকা পুরাতন গোবিন্দাসী হাট, প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা, মসজিদ ও মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।