নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় অবস্থিত বীমা কোম্পানী সান লাইফ ইনসুরেঞ্জ কোম্পানী লিঃ অনিয়ম অব্যবস্থার কারনে বন্ধ হতে চলছে। ইতিমধ্যে উপজেলার সকল আঞ্চলিক অফিস বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছে কোম্পানী এজেন্ডরা। শুধু মাত্র উপজেলা শহরের একটি অফিস খোলা থাকলেও কার্যক্রম বন্ধ। নতুন কোন বীমা বা প্রিমিয়াম জমা হচ্ছে না। অফিসের দায়িত্বে থাকা মোঃ আশরাফ হোসেন তালুকদার জানান ৫ শতাধীক মেয়াদ উর্ত্তৃন ক্ষুদ্র বীমা গ্রাহকের মেয়াদ পুর্তি দাবী আদায়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এক বছর আগে জমা দিয়েও কোন টাকা পায়নি। এ ছাড়া ৮০ জন কর্মীর মাধ্যমে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র বীমা গ্রাহকের মেয়াদ পুর্তি ছাড়াদের কোন কুল কিনার তো নাই। বর্তমানে ৪জন বীমা কর্মী গোপনে পুরনো গ্রাহকদের বীমা দাবী ঢাকা অফিস থেকে ছাড় করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। প্রতিদিন অফিসে এসে ধর্না দিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন কিভাবে তাদের এই জমাকৃত টাকা উত্তোলন করবে গ্রাহকরা। আনেহলা গ্রামের কৃষক আলতাব হোসেন জানান এক বছর আগে আমার বীমার মেয়াদ পুর্ণ হয়েছে কিন্তু বার বার অফিসে যোগাযোগ করে টাকা পাই নি। অনেক কষ্ট করে কিস্তি দিয়েছি ১০ বছর কিছু টাকা পাবার আশায় কিন্তু সবটাই এখন হারানোর পথে, বীমা কোম্পানী আমাদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, বছর ঘুরেও টাকা পাচ্ছি না। বীমা গ্রাহকদের টাকা দাবীতে প্রতিদিন তাগাদা দিচ্ছে বলে কর্মকর্তা কর্মচারী অফিসে আসা বাদ দিয়েছে অনেকে। আবার অনেকে এই পেশা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এভাবে গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকার প্রিমিয়াম নিয়ে এখন আর তা গ্রাহকদের ফেরৎ দিচ্ছে না বলে জানায় স্থানীয় বীমা এজেন্ডরাও।
এটাও চেক করতে পারেন
জামায়াতের আর্থিক সহায়তা পেলো ভূঞাপুরের শহিদ পলাশের পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ মো. ফিরোজ তালুকদার পলাশের পরিবারের পাশে …