মামুন সরকার ভূঞাপুর প্রতিনিধিঃ শীত আসতে না আসতেই টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দারোগ আলী সুপার মার্কেট সংলগ্ন খোলা মাঠে জমে উঠেছে গরীবের শীত কাপড়ের মার্কেট। একদাম এক রেট, দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, খালি পঞ্চাশ খালি পঞ্চাশ। ‘একশ টাকা একশ টাকা’ একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি। এভাবেই নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে শীতের কাপড় বিক্রী করছেন ভূঞাপুরে ফুটপাতের শীত কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। তীব্র শীত আসতে এখনো প্রায় এক মাস বাকি থাকলেও ইতিমধ্যে জমে উঠেছে গরীবের শীতের মার্কেট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে এই কেনা-বেচা। শীতকে সামনে রেখে গরম পোশাক কিনছে সবাই। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শীত নির্বারণ করতে গরম কাপড় কেনায় ব্যস্ত উপজেলায় নি¤œ আয়ের মানুষগুলো। গরিব ও নি¤œ আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা হকারদের বিক্রী করা শীতের কাপড়। গরীবদের পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন কাপড় কিনে থাকেন। বর্তমানে উচ্চ আয়ের লোকজনও এখান থেকে কাপড় কিনছেন। বছরের অন্যান্য সময় এখানে তেমন কেনা-বেচা না হলেও শীতকে সামনে রেখে এখানকার ব্যবসা জমে উঠে। এখানকার ব্যবসায়ীরা শুধু শীতকে সামনে রেখে কাপড় কেনা-বেচা করে থাকে।
ব্যবসায়ী বলেন, আমরা চট্টগ্রামের আমিন মার্কেট থেকে বেল্ট হিসেবে এইসব শীতের কাপড় নিয়ে আসি। গত বছরের তুলনায় এবছর প্রতিটি বেল্টের দাম বেড়েছে প্রায় ২-৩ হাজার টাকা। প্রতিটি বেল্টের মূল্য প্রায় ১৬-২০ হাজার টাকা। বিভিন্ন ধরনের বেল্টের বিভিন্ন রকমের দাম । প্রতিটি বেল্টের ভিতরে সোয়াটার, বিভিন্ন ধরনের গরম জামা, টুপি, মোজা, বাচ্চাদের কাপড়, র্কোট-প্যান্ট, চাদর, কম্বল, ট্টাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় থাকে। বেল্ট ভাঙ্গার পর কাপড়গুলোর একটা গড় মূল্য নির্ধারণ করে আমরা বিক্রী শুরু করি। খরচ বাদে যা থাকে তাতে ভালোই লাভ হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, এখানে সকাল থেকে শুরু করে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম একটু কম থাকলেও বিকাল হওয়ায় সাথে সাথেই বাড়তে থাকে ক্রেতার সমাগম। অন্যান্য ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া যমুনা চরাঞ্চলের অধিকাংশ লোকজন এই হকার মার্কেট শীতের পোশাক কিনতে আসেন।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এখানে কম দামে ভালো শীতের কাপড় পাওয়া যায়। তাই প্রতিবছর পরিবারের সকলের জন্য ও আমার জন্য এখান থেকেই শীতের কাপড় কিনি। শীতের কাপড় কিনতে আসা গাবসারা ইউনিয়নের রুলীপাড়া গ্রামের রহিজ উদ্দিন বলেন, আমি প্রায় চার বছর যাবৎ পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য এখান থেকে শীতের পোশাক কিনি। মার্কেটের চেয়ে এখানে দাম অনেক কম এবং কাপড়ের মানও অনেকটা ভালো। শুধু আমি নই আমাদের চরাঞ্চলের অধিকাংশ লোকজন এখান থেকে শীতের পোশাক কিনেন।