লোকাল নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২০১৮ চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে কৃষকদের চীনা বাদাম ৮ ও বারি চীনা বাদাম ৯ এর ফলন এবং মানসম্মত বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকের মাঠ দিবস ৯ জুন শনিবার দুপুরে গোবিন্দাসীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএআরআই গাজীপুর মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আশরাফ হোসেন। বিএআরআই গাজীপুর মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সোহেলা আক্তার এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধান গবেষক মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অলক বর্মন। সহকারী গবেষক উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোছা: রোকেয়া খাতুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বিআরআই টাঙ্গাইলের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সমরেশ রায়, বৈজ্ঞানিক সহকারী বিআরআই সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ভূঞাপুরে মো: বাহা উদ্দিন, মো: আব্দুল মান্নœান প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অসংখ্য কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, চিনাবাদাম চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ বা চরাঞ্চলের বেলে মাটি সবচেয়ে ভাল, প্যাগ যাতে সহজে মাটি ভেদ করে নিচে যেতে পারে সেজন্য মাটি বেশ নরম ও ঝুরঝুরে হওয়া চাই। চীনাবাদাম গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে হালকা বৃষ্টিপাত হলে ভাল হয়। খরিফ-২ মৌসুমে ভাদ্র মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে বীজ বপন করা অধিক শ্রেয়। বীজ বপনের আগে খোসা হতে বীজ ছাড়িয়ে নিতে হবে। বীজ সারিতে বুনতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ সে:মি:, গাছের দূরত্ব ১৫ সে:মি: হতে হবে। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট ও মরিচা রোগ দেখা দিলে সাথে সাথে ক্যালিক্রিন শতকরা ০.১ ভাগ হারে (প্রতি লিটার পানির সাথে ১ মিঃ লিঃ ছত্রাকনাশক) বা টিল্ট ২৫০ ইসি শতকরা ০.০৫ ভাগ হারে (প্রতি লিটার পানির সাথে আধা মিঃ লিঃ ছত্রাকনাশক) ১২ দিন অন্তত তিন বার ছিটালে রোগের প্রকোপ কমে যাবে। তিনি কৃষকদের বাদাম আবাদে উৎসাহ প্রদান করেন এবং সরেজমিনে গবেষকদের সাথে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেন।