ঘাটাইলে আলোচনায় ইউপি চেয়ারম্যান দানবীর এমদাদুল হক সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক সরকার ঘোনারদেউলী গ্রামের মুসলিম সভ্রান্ত আ’লীগ পরিবারের সন্তান। তার বাবার নাম মোঃ মোসলেম উদ্দিন সরকার। তারা ৫ ভাই ২ বোন। তিনি নিজেও ৩ কন্যা সন্তানের জনক। চেয়ারম্যান ভাইদের মধ্যে তৃতীয়। বড় ভাই পুলিশের অবসর প্রাপ্ত সুবেদার। অন্যান্য ভাইয়েরা বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। তারা ৫ ভাই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গড়া আ’লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। চেয়ারম্যান নিজেও ঐ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পেশায় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের একজন প্রথম সারির ঠিকাদার। তার আয়ের উৎস থেকে তিনি সিংহভাগ টাকা বিভিন্ন সময়ে দল ও গরীবদের মাঝে ব্যায় করে থাকেন।
এসব বিষয়ে ঘোনারদেউলী গ্রামের কদ্দুস (৪৫) জানায় এমদাদ সরকার যেদিন থেকে টাকা রোজগার করে, সেদিন থেকে এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে অকাতরে দান করে যাচ্ছে। রসুলপুর ইউনিয়নে এমন কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে তার অনুদান না আছে।
ঘোনারদেউলী গ্রামের আঃ রহিম (৪০) জানায় চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার সরকারী বরাদ্দ ছাড়াও নিজের টাকায় বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানায়, গরীব মেয়ের বিয়ের সাহায্য এবং হতদরিদ্রদের জন্য চিকিৎসার টাকা দিয়ে থাকেন। তার কাছে হাত বাড়িয়ে কেউ ফেরৎ গিয়েছে এমন কোন নজির নাই উপজেলা জুড়ে।
একই গ্রামের সাইফুল (৩০) জানায় অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সরকারি বরাদ্দ বিতরন করে তাদের দায়িত্ব শেষ দেয় কিন্তু এমদাদ চেয়ারম্যান সরকারী বরাদ্দ শতভাগ বিতরন করেও আরো চাহিদা থাকায় নিজের টাকায় চাউল ক্রয় করে গরীবদের মাঝে বিতরন করে থাকেন। একই নিয়মে গত কোরাবানী ঈদে নিজের টাকায় ২ টন চাউল ক্রয় করে গরীবদের মাঝে বিতরন করেছেন।
ঘোনারদেউলী গ্রামের হারুন (৩০) জানায় এমদাদ সরকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ইউনিয়নে ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি জিহাদ ঘোষনা করায় এলাকার অপরাধী যারা অন্যায় পথে টাকা রোজগার করত তাদের অবৈধ রোজগার বন্ধ হয়ে যাওযায় অপরাধীরা চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অপ্রচার চালাচ্ছে। তার পরেও তিনি অন্যায়কে বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে বাবার মতই ন্যায়ের পথে অবিচল থাকেন তিনি। তিনি এলাকার মানুষের কথা ভেবে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে সম্পূর্ণ নিজের টাকা খরচ করে ঘোনারদেউলী প্রাইমারী স্কুলের পাশে ৪০ লাখ টাকা খরচ করে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাছাড়াও ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য খুপিবাড়ী, হাজীপুর ও রামপুর নদীর উপর ৩টি ঝুলন্ত সেতু বর্তমানে নির্মাধীন। যার আনুমানিক ব্যয় হবে ২০ লাখ টাকার উপরে। তিনি এভাবে একের পর এক জনবান্ধব কাজ করে শুধু ইউনিয়নে নয় উপজেলা জুড়ে সারা জাগিয়ে তুলেছেন।