আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল প্রতিনিধি:
ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে জাগে নিজে চাকরি না করে অন্যকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবেন মোজাম্মেল হোসেন। সেই স্বপ্ন আজ পূরণের পথে। ইতোমধ্যেই তার প্রতিষ্ঠানে চারজন শ্রমিককে চাকরি দিয়েছেন। মোজ্জাম্মেল হোসেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দড়ি চৈথট্র গ্রামের বাসিন্দা।
মোজ্জাম্মেল হোসেন ১৯৯৫ সালে এসএসসি পাস করেন। তিনি স্কুলের পাশাপাশি ১৯৯৩ সাল থেকে বিভিন্ন জাতের গাছের নার্সারী শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি হাস-মুরগী, খাসি ও কবুতর বাণিজ্যিকভাবে পালন শুরু করেন। এসব থেকে তিনি লাভের টাকা একত্র করতে শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সালে দুইটি ষাঁড় গরু কিনে বাণিজ্যিকভাবে খামার শুরু করেন। প্রতি ছয় মাস পরপর গরু বিক্রি করে তার খামারে গরু বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে তার খামারে ৫২টি ষাঁড় গরু রয়েছে। এ বছর তিনি ৫২টি গরুই কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এই ৫২টি গরু তিনি প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিক্রির কথা ভাবছেন। ৫২টি গরু বিক্রি করলে খরচ বাদে প্রায় ১০ লাখ লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘এবার কোরবানির ঈদের জন্য আমার খামারে ৫২টি গরু প্রস্তুত করেছি। এই ৫২টি গরু প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিক্রির কথা ভাবছি। ৫০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারলে খরচ বাদে ১৪-১৫ লাখ টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার খামারে বর্তমানে চারজন শ্রমিক রয়েছে। ঈদের পর ষাঁড় গরুর পাশাপাশি গাভি গরুও খামারে উঠানো হবে। ভবিষ্যতে প্রায় তিনশ গরুর খামার করার কথা ভাবছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল। নিজে চাকরি করবো না, অন্যকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবো। সেই স্বপ্ন আজ পূরণের পথে। ৩শ’ গরু নিয়ে খামার করতে পারলে প্রায় ২০জন শ্রমিক আমার খামারে কাজ দিতে পারবো। এতে করে আমার এলাকার কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দূর হবে।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো. মান্নান বলেন, ‘মোজাম্মেল হোসেন তার খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুগুলোকে লালন-পালন করেছেন। আমারা তার খামার নিয়মিত দেখাশোনা করছি খুজ খবর নিচ্ছি । উপজেলায় তার খামারটিই সবচেয়ে বড়।’
এটাও চেক করতে পারেন
ঘাটাইলের লোকেরপাড়া আলহাজ্ব ফজর উদ্দিন তালুকদার মহিলা হাফিজিয়া নুরানিয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ছবক প্রদান অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া আলহাজ্ব ফজর উদ্দিন তালুকদার মহিলা হাফিজিয়া নুরানিয়া মাদরাসার নাজরানা …