লোকাল নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার রসুল পুর ইউনিয়নের মোমিনপুর গড়ানচালা গ্রামের মো: আশকর আলীর পুত্র মো: সামাদ আলীর সাথে একই এলাকার শ্রী অমল চন্দ্রের মেয়ে উর্মিলা রানী ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। হিন্দু মেয়ে মুসলমান ছেলের সাথে পালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে ।

জানাযায়, সামাদ ও উর্মিলা রানী দুজনেই একই ক্লাসে পড়ালেখা করত। গতবছর দুজনেই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। শ্রী মতি উর্মিলা রানী সরকার তার স্বামি সামাদ আলীর ফেসবুক থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর স্ট্যাটাস দিয়ে জানায় সে স্বজ্ঞানে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়েছে। সে আর হিন্দু নয়। সে মহান আল্লাহ কে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এবং হযরত মোহাম্মদ সা: কে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে। সে ইসলামের আদর্শে নীতি ও নৈতিকতা মেনে জীবন অতিবাহিত করতে চায়।ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে টাঙ্গাইল জজকোর্টে নোটারী পাবলিক এর সহায়তায় ধর্মান্তরিত হওয়ার ডকুমেন্টসহ পোষ্ট করে। সেখানে সে স্বজ্ঞানে, বিনা প্ররোচনায়, কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে । উর্মিলা রানী প্রাইমারীতে পড়ার সময় থেকেই সামাদ আলীর সাথে প্রেম ভালোবাসায় লিপ্ত হয় বলে জানায়।সামাদ আলী পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষিকাজ করত এবং রসুলপুরের এক ইটের ভাটায় ইট সিজনে নিয়মিত কাজ করত। ছোট বেলা থেকেই দুজনে একই প্রাইমারী স্কুল ও হাইস্কুলে পড়ালেখা করতো। এমনকি দুজনে সবসময় একই স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ত। কোচিং করতো দুজনে অভিন্ন কোচিং-এ। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে শ্রী অমল চন্দ্র ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেন । এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। সামাদ আলী ও উর্মিলা কোথায় পালিয়ে আছেন এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকের অনুমান উভয়েই ঢাকাতে কোথাও চলে গিয়েছেন।