দীপু মনির জনসভাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ গোপালপুরে আওয়ামী লীগের ৭৮ নেতা-কর্মীর নামে যুবলীগ নেতার অভিযোগ
আঃ রশিদ তালুকদার,
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হেমনগর ডিগ্রী কলেজ মাঠে টাঙ্গাইল-২(গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে শীর্ষে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল (সিআইপি) আয়োজিত গত ২০ শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনির জনসভাকে কেন্দ্র করে তার আগমনী বার্তার তোরণ, বিলবোর্ড ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের ৭৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গোপালপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়ন যুব লীগের আহবায়ক খন্দকার খাবিরুজ্জামান অরুন ২৩ শে অক্টোবর অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার হেমনগর ডিগ্রী কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের এক জনসভা আহবান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি করা হয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ডা. দীপু মনির আগমনী বার্তার তোরণ, বিলবোর্ড ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও এলাকার ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে জনসভাটি বাতিল হয়ে যায়। আর এ ঘটনায় হেমনগর ইউনিয়ন যুব লীগের আহবায়ক খন্দকার খাবিরুজ্জামান অরুন বাদী হয়ে ২৩ শে অক্টোবর যুব লীগ নেতা শামীম আল মামুনকে প্রধান আসামী করে রফিক, শাহিন, সোহেল, জোয়াহের, মেহেদী হাসান মুকুল, ফিরোজ সরকার, শিমুল, আতিকুর রহমান বাবু, মো.লিটন, বাহাদুর রহমান, সোহাগ আলী, মো.বাসার, সোহেল, মামুন ড্রাইভার, সোহেল খান, মো.সুমন মিঞার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জন আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যনÍ থানায় মামলা রজ্জু করা হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন