বাদীর দাবি খুন ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন ২ মাস পর মামলা

বাদীর দাবি খুন ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন ২ মাস পর মামলা


লোকাল নিউজ ডেস্ক ঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। বিবাদীর হুমকিতে ২ মাস ২৫দিন পর ৬ জনকে আসামী করে মৃত ওসমানের ভাই বাদী হয়ে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিসটেট আদালতে ১৮ আগষ্ট মামলা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লোকেরপাড়া ইউনিয়নের দশানী বকশিয়া গ্রামে।
মামলা সূত্র জানা যায়, ঘাটাইলের আন্তর্গত দশানী বকশিয়া মৌজার ১০৪ নতুন ১১৭ এর ৬৬৮ দাগের ৪৫/৭৪ এর কাতে সাড়ে ৮ শতাংশ বাদীর ভোগ দখলিয় জমিতে জোড় করে একটি গ্রভাব শালী মহল মাটিকাটার প্রক্রিয়া করে। পরে তাদের রোধকল্পে ১২ মে টাঙ্গাইল ফৌজদারী আইনে ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করে। এতে আসামীরা নোটিশ প্রাপ্ত হইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে ১৭ মে রাতে তারাবী নামাজ শেষে সংঘব্ধ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ মারপিট করে। এতে বাদী সহ রমিজুল, মাসুদ, ঠান্ডু ও মৃত ওসমান মারাত্মক আহত হয়। মারপিট দিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি পাশাপাশি ঘাটাইল থানায় মামলা নং ১২১/১৯ দিয়ে গ্রেফতার করতঃ জেল হাজতে প্রেরণ করে। ২৮ মে তারিখ মৃত ওসমান জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে আসলে বিবাদীরা খবর পেয়ে পূনরায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাড়িতে হামলা চালায় । ওসমান ভয়ে খাটের নিচে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে খাটের নিচ থেকে টেনে হেচঁড়ে বেড় করে এলো পাথারি মারপিট শুরু করে। এসময় ওসমাসনের স্ত্রী রেহেনা তাদের বাধা দিলে আসামী আনিছুর, বাবলু, মনি এবং নাজিম উদ্দিন ওসমান কে খুন করিয়া ফেলার উদ্দেশ্যে দুইহাত দিয়ে গলায় চাপিয়া ধরে স্বাশরুদ্ধ করে মৃত্য নিশ্চিত করে চলে যায় বৈদ্যাতিক আলোয় স্বাক্ষীরা আসামীদের স্বনাক্ত করে। পরে জক্ষমী ওসমান কে ২৯ মে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আনুমানিক সকাল ৮:৩০ ঘটিকায় ওসমানকে মৃত্য ঘোষনা করে। ঘাটাইল থানায় ১২১/১৯ জিআর মামলায় ওসমানের বাড়ির লোকজন জেল হাজতে থাকায় এবং প্রভাবশালী মহলের হুমকিতে আসামীরা ওসমানের ছেলে টুটুল ও মেয়ে ছবির নিকট হইতে বে-আইনি ভাবে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়া মৃত ওসমানের লাশ দ্রুত ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে মৃত ওসমানের ভাই সালামত বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হল- (১) নাজিম উদ্দিন (৩২) পিতা- আইন উদ্দিন তালুকদার(২) মুন্ন তালুকদার (৩৫) পিতা- মৃতঃ মোতাহের তালুকদার(৩) আনিছুর তালুকদার (৪৫) পিতা- মৃতঃ আইন উদ্দিন তালুকদার(৪) বাবলু মিয়া (৪৮) পিতা- মৃতঃ মোতালেব তালুকদার।(৫) মনি মিয়া (৫৮) পিতা- মৃতঃ মোতহের তালুকদার(৬) আব্দুর রহমান খান (৬০) পিতা- মৃতঃ পিনজির খান। সর্ব সাকিন- দশানী বকশিয়া, ইউনিয়ন- লোকেরপাড়া, থানা- ঘাটাইল, জেলা- টাঙ্গাইল। আরোও অজ্ঞাত ৫/৬ জন আসামী রয়েছে।
বাদী সালামত প্রতিদিনের সংবাদকে জানান,আমি জেল হাজতে ছিলাম বাড়িতে কেও ছিলোনা তাই মামলা করতে পারি নাই।আমি আমার ভাইয়ে লাশ ময়না তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচারের দাবি করছি।সি আই ডি তদন্তের জন্য আবেদন করছি।আমার ভাইকে যারা খুন করছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
এব্যপারে ঘাটাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান জানান, বাদী কোর্টে একটি মামলা করেছে কোর্টের নির্দেশে ১৮ আগষ্ট থানায় মামলা এন্ট্রি করেছি।আইনী প্রক্রিয়ায় মামলার কার্যক্রম চলবে।

পরিচিতি ইব্রাহীম ভূইয়া

এটাও চেক করতে পারেন

ভূঞাপুরে বিলে মিলল বস্তাবন্দি মরদেহ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) ব্যক্তির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) …

Leave a Reply

Your email address will not be published.