আলমগীর তালুকদার ভূঞাপুর :
টাংগাইলের ভূঞাপুরে শারদীয় দুর্গোৎসবে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে পূজামন্ডপগুলোতে দেবীকে বিসর্জন দেন বিভিন্ন নদী,খাল ও পুকুরে। বিকেল ০৩:৪৯ ঘটিকা থেকে ০৪:৪৯ ঘটিকার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার জন্য মন্ডপ থেকে বাহির করা হয়।সুর্যাস্থের সাথে সাথে ভূঞাপুর স্লুইচগেটে এসব প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

জানা গেছে পঞ্চম তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণ আর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ষষ্ঠ তিথির ঊষালগ্নে নবপত্রিকা সন্ধান শেষে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণসঞ্চার করা হয়েছিল দেবীর মৃন্ময়ীতে। শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে মহানবমী পূজা হয়। অষ্টমী তিথিতে দেবী মহালক্ষ্মীরূপা বৈষ্ণবী শক্তি। দেবী সেদিন রাজরাজেশ্বরী মূর্তি দু’হাতে বর দেন ভক্তদের।শ্রেষ্ঠ উপাচার সেদিন নিবেদিত হয় পদ্ম, জবা, অপরাজিতা, বেলপাতা কত রকমের ফুলমালায় মাকে সাজানো হয়।
আচারের মধ্য দিয়ে নবমী সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সন্ধিপূজা। মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচুক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামুন্ডা রূপে পূজা করা হয়ে থাকে অর্থাৎ যিনি ও মুরে বিনাশিনী। পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র এই মুহূর্তেই রাবণকে বধ করেছিলেন। মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা,এদিন বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। প্রতিমা সামনে রেখে সিদুরের ছরাছটি আর নাচ গানের উৎসবে মেতে ছিলেন সনাতন ধর্মের মানুষগুলো, পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আগমনে যেমন উৎফুল্ল হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তেমনি বিদায় ঘিরে বাজতে শুরু করে বিচ্ছেদের সুর।