নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কোন ধরনের ডিগ্রী ছাড়াই নামমাত্র সনদ দিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করছে আর্য়ুবেদিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসহকারিরা। যদিও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টে তাদের নাম বা পদবী উল্লেখ করেন না। আর এতে চিকিৎসার নামে প্রতারণার শিকার হচ্ছে রোগীরা।
জানা গেছে, ভূঞাপুর সরকারি হাসপাতালের আর্য়ুবেদিক চিকিৎসক ইব্রাহীম খলিল মেডিকেল অফিসার হিসেবে আউটডোরের ১১০ নম্বর কক্ষে বসে সবধরনের রোগী দেখছেন।
রোগীদের লিখে দিচ্ছেন উচ্চমানের অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা ওষুধ। শুধু তাই নয় তিনি স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত আল্ট্রাসনোগ্রাফি করছে। আরেকজন ডিপ্লোমা মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) সুরাইয়া ইয়াসমিন। হাসপাতালে চাকুরির সুবাদে তিনিও ক্লিনিকগুলোতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করছেন। যদিও বিএমডিসির আইন অনুযায়ী কেউ এমবিবিএস চিকিৎসক ব্যতীত আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে পারবেন না। স্থানীয় মা ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ক্লিনিকের মালিকরা বেশি লাভের আশায় রোগী পেলেই ডিএমএফ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মোবাইল করে ক্লিনিকে ডেকে আনেন। কিন্তু তারা নামমাত্র প্রতিষ্ঠান থেকে শর্টকোর্স করে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করছে। এতে রোগীরা না জেনে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভূঞাপুর হাসপাতালের ডিপ্লোমা মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) সুরাইয়া ইয়াসমিন
জানান, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে কোর্স করেছি আল্ট্রাসনোগ্রাফির। রিপোর্টে
চিকিৎসকের পদবীসহ সীল বা নাম দেয়ার কোন নিয়ম আইনে কোথাও লেখা নাই।
সার্টিফিকেট অনুযায়ী আল্ট্রাসনোগ্রাফি করছি।
হাসপাতালের আর্য়ুবেদিক চিকিৎসক ইব্রাহীম খলিল জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
মেডিকেল অফিসার হিসেবে সবধরনের রোগী দেখার অনুমতি দিয়েছে। সার্টিফিকেটের
আলোকেই আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাচ্ছি।
ভূঞাপুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) চিকিৎসক তৌফিক
এলাহি জানান, এমবিবিএস ছাড়া কেউ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে পারবে না। কিন্তু
তারা সেটা মানছে না। বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে তারা এই আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে
যাচ্ছে।