বাদাম বীজ বপনে ব্যস্ত ভূঞাপুর যমুনার চরাঞ্চলের কৃষকরা


লোকাল নিউজ ডেস্ক ঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাদামের বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা । যমুনার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় চারিদিকে এখন শুধু ধু ধু বালুচর। রাত পোহালেই কৃষকরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে নিয়ে দিন ভর কঠোর পরিশ্রম করে বালুচরে তারা এই বাদাম বীজ বপন করছেন। বাদাম চাষের জন্য বেলে মাটি খুবই উপযোগী। তাই চরাঞ্চলের কৃষকগণ তাদের বেলে মাটির জমিতে বাদাম চাষ করে থাকেন। আশি^ণ- কার্তিক মাস বাদাম চাষের সঠিক সময়। আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে তা আবার কৃষকের ঘরে উঠে। চলতি বছর বাদামের ভালো ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবছর অধিক পরিমান জমিতে বাদাম চাষ করছেন যমুনার এই চরাঞ্চলের কৃষকরা ।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী, অজুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের চরতারাই, চরভরুয়া, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রায়ের বাসালিয়া, রামাই, বাসিদকল, রুলিপাড়া, গোবিন্দপুর, রামপুর ও ডিগ্রীচর অঞ্চলের বাদাম বীজ বপনে চাষীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। চাষীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, বিগত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদমে বীজ বপন ও বাদাম ক্ষেতের পরিচর্যা শুরু করেছে তারা। কারণ অল্প খরচে এবং কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়। বাদাম চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ৫/৬ হাজার টাকা এবং বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ মণ। বাদাম বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।
গাবসারা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বাদাম চাষী জিন্নত আলী বলেন, গত বছর আমি জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো ফলন এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবছর আমি প্রায় পনের বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরেও ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
খরচবিহীন এই ফসল কৃষককে দিচ্ছে প্রচুর অর্থ। সুস্বাদু, মুখোরচক ও ভিটামিনসমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু- ছাগলদের খাওয়ান। এতে গরু- ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য ফসলের মত বাদামের জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময় মত বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য অপেক্ষায় থাকা।কম খরচে কৃষক লাভবান হওয়ার একটি ভালো ফসল।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাদাম চাষিদের জন্য ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় চরাঞ্চলের ১০০ জন বাদাম চাষীকে ১০ কেজি বাদাম বীজ এবং ১৫ কেজিকরে সার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, “গত বছর যমুনা চরাঞ্চলে প্রায় ১৮শ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছিল । এবছর এর লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িরে যাবে আশা করছি”।

পরিচিতি ইব্রাহীম ভূইয়া

এটাও চেক করতে পারেন

শ্রাবণে বোরো ধান চাষে মেতে উঠেছে ভূঞাপুরের কৃষক

মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা,ভূঞাপুর : শ্রাবণে বোরো ধান চাষে মেতে উঠেছে  টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের কৃষক । …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *